টাঙ্গাইলে মেয়ের হত্যা মামলা করায় মা,আয়শা বেগম কে প্রাণনাশের হুমকি 

উজ্জ্বল মিয়া :
টাঙ্গাইল ঘাটাইল থানায় এসে মেয়ে তাসলিমা কে নির্যাতন করে হত্যা করার মামলা করে বিপদে  মা,আয়েশা বেগম বিবাদীরা প্রতিদিন দিচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি।
মোছাঃ আয়শা বেগম, স্বামী মোঃ হাসান আলী, সাং ভুটিয়া, ইউপি ৯ নং অরুনখোলা, থানা মধুপুর, জেলা টাঙ্গাইল থানায় এসে আসামিদের বিরুদ্ধে ঘাটাইল থানায় একটি  অভিযোগ করে।আসামীরা হলো  মোঃ আঃ রাজ্জকের ছেলে, মোঃ সুমন মিয়া,আঃ রাজ্জাক এর স্ত্রী,  লাইলী বেগম। মৃত গিয়াস মল্লিক,এর ছেলে মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। মোঃ আঃ রাজ্জাক এর মেয়ে রিতু আক্তার।  মোঃ লাল মিয়ার স্ত্রী সর্ব সাং টেপি কুশারিয়া (গুলুরচালা), ইউপি ৯ নং সন্ধানপুর, খানা ঘাটাইল, জেলা টাঙ্গাইল আমার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। পারিবারিক কলহের বিষয় নিয়ে একাদিক বার ঘরোয়া ভাবে মিমাংশার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু আসামীগণ কারো কথায় কর্নপাত করে না।
গত ৮/৬/২৪ তারিখ রাত্রি অনুমান ২ ঘটিকায় সুমনের ব্যবহৃত মোবাইল হতে আমার ব্যবহৃত মোবাইলে পরপর ফোন করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার মেয়েকে তাদের বাড়ী থেকে নিয়ে যেতে বলে।সুমনের সাথে ফোনে কথা বলার সময়ে আমি আমার মেয়ে তাসলিমা আক্তার হাসির কান্নার শব্দ শুনে তার সাথে কথা বলতে চাই। আমি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমার মেয়ে তাসলিমা আক্তার হাসির সাথে কথা বলার সময়ে সে কান্না করে জানায় যে,ওরা আমাকে মারপিট করছে। আমরা যদি তাকে তার শ্বশুর বাড়ী থেকে নিয়ে না আসি তাহলে তাকে মেরে ফেলবে। আমি ফোন করে বিষয়টি আমার মেয়ের উকিল শ্বশুর মোঃ লিটন হোসেনকে জানাই এবং তাকে সুমন দের বাড়ীতে যেতে বলি।
গত ৮/৬/২৪ তারিখ রাত অনুমান ২.২৫ ঘটিকায় মোঃ লিটন হোসেন আমাকে ফোন করে দ্রুত সুমন দের বাড়ীতে যেতে বলে এবং জানায় যে, একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমি তখন কি দুর্ঘটনা ঘটেছে তা জানতে চাইলে মোঃ লিটন হোসেন আমাকে জানায় যে, আমার মেয়ে তাসলিমা আক্তার হাসি মারা গেছে। আমি ঐ রাত্রেই আমার নিকট আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে সুমনদের  বাড়ীতে গিয়ে দেখি যে, আমার মেয়ে তাসলিমা আক্তার হাসি মৃত অবস্থায়  বসত ঘরের বারান্দায় পড়ে আছে। আমিসহ আমার নিকট অত্মীয় স্বজন আমার মেয়ের লাশ উলটপালট করে তার গলাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাদিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পাই।
ইতিমধ্যে থানা পুলিশ গিয়ে আমার মেয়ের মৃত দেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে লাশ থানায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।আমি নিশ্চিত যে,সুমন  ৮/৬/২৪ তারিখ রাত অনুমান ২ ঘটিকা হতে রাত অনুমান ২.২৫ মিনিটের  মধ্যে পরস্পর যোগসাজশে আমার মেয়ে তাসলিমা আক্তার হাসি কে সুমনের বসত ঘরে ভিতর মারপিট করে হত্যা করেছে। হাসি হত্যা মামলায় সুমন অ্যারেস্ট হলেও দিব্যি বুক ফুলিয়ে ঘুরে  বেড়াচ্ছে আসামিগণ। ঘাটাইল থানা পুলিশের কাছে অন্য আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে কোন তথ্য না থাকার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়েছে ঘাটাইল থানা পুলিশ।
অপরদিকে ০৩-১০-২০২৪ রোজ শুক্রবার সময় আনুমানিক চার ঘটিকার সময় আয়েশা বেগমের বসতভিটা এসে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি এবং উনাকে মেরে গুম করে ফেলবে এই বলে শাসিয়ে যায় গিয়াস মল্লিক এর ছেলে জুব্বার মল্লিক, তোতা বাইনার ছেলে কুরবান আলী, আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রমজান আলী, চান মিয়ার ছেলে লিটন,  আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী লাইলী বেগম, মৃত্যু গিয়াস মল্লিক এর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে ঋতু আক্তার, লাল মিয়ার স্ত্রী রত্না আক্তার, এদের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে মামলার বাধি আয়েশা বেগম।
গত ১৫ -১০-২০২৪ আয়েশা বেগমের নিরাপত্তা চেয়ে কোটি একটি মামলা দায়ের করে আয়েশা বেগম উক্ত আসামিদের দ্রুত  গ্রেপ্তারের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে কোর্টের শপথ্য করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *