স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের ওপর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ৫ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো. হানিফ ও তার ভাই মো. ইকবালের নেতৃত্বে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টা ৪৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনের একটি দোকান ভাঙচুর করে স্থানীয় যুবলীগ-ছাত্রীগের নেতাকর্মীরা। দোকানটি নিজের দাবি করে এ হামলা চালায় যুবলীগ নেতা হানিফ। এসময় জিরো পয়েন্টে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। এতে আশপাশের শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সবাইকে জিরো পয়েন্টে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানায়।
প্রায় দেড়শো শিক্ষার্থী জড়ো হলে ভোর ৬টার দিকে একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরের রেলক্রসিংয়ের দিকে এগিয়ে যায় তারা। পথে হানিফের ওয়াইফাই ব্যবসার দোকানে ভাঙচুর করে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ভাংচুরের সময়ও রেলক্রসিংয়ে শর্টগান হাতে ককটেল ফোটায় যুবলীগের কর্মীরা।
তাদের ধাওয়া দিয়ে শিক্ষার্থীরা রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছলে তিনজন পুলিশ সদস্য সেখানে উপস্থিত হন। এসময় স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করে স্থানীয়দের জড়ো হতে বলে যুগলীগের কর্মীরা। পুলিশের কথায় আশ্বস্ত হয়ে শিক্ষার্থীরা ফিরে যেতে উদ্যত হয়। এসময় পেছন থেকে রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে যুবলীগ-ছাত্রলীগের প্রায় ৩০-৪০ জন সদস্য শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। এতে ৫ জন আহত হয়।
পরে শিক্ষার্থীরা জিরো পয়েন্ট ও স্থানীয়রা রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নেয়। প্রক্টর এসে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন,বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের ইয়াসিন আরাফাত, আরবি বিভাগের নাজমুল হাসান, লোকপ্রশাসন বিভাগের মোনায়েম শরীফ, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আব্দুল্লাহ আল নোমান ও একই বিভাগের মুজাহিদুল ইসলাম।
জানা যায়, হানিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন নয়। তার বিরুদ্ধে থানায় বেশকিছু মামলা রয়েছে। স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট রাতেও রেলক্রসিং এলাকায় হানিফ গংয়ের নেতৃত্বে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। এছাড়া ব্যবসার আড়ালে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ পাচার ও বাস সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণও তার হাতে।
স্টেশনের ভাঙচুর করা দোকানের মালিক শাহিনের নাম্বারে কল দিয়ে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অভিযুক্ত হানিফের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, স্থানীয় ৩ জন প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি সমন্বয় টিম করে দিবো। যাতে এ ধরনের ঘটনাগুলো দ্রুত সমাধান করা যায়। আজকে এ ব্যাপারে একটি মিটিং হবে।