সারোয়ার হোসাইন:
নালিতাবাড়ীতে ভয়াবহ বন্যায় গো—খাদ্য খড় এখন সোনার চেয়েও দামি। প্রতি ভোজা খড় বিক্রি হচ্ছে পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকায়। এতে করে কৃষকের মুখে হাঁসি ফুটলেও বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। এর আগে খড়ের বাজার এমন লাগামহীন হয়নি বলে দাবি খামারি সহ সাধারণ গরু পালন কারিদের।
নালিতাবাড়ী উপজেলা শহীদ মিনারে বছরে প্রতিদিনি বিক্রি হয় গো—খাদ্য খড়। তবে কিছুদিন ধরে খড় ক্রয় বিক্রয়ের চিত্রটা দেখা যাচ্ছে ব্যতিক্রম। বাড়ি বর্ষণ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে সব কিছু রক্ষা পাইনি গো—খাদ্য খড়।
খামারিরা বলছেন, যে খড়ের দাম আগে ছিল দুইশ থেকে তিনশ টাকা ভোজা তা এখন পাচঁশ থেকে ছয়শ টাকায় কিনতে হচ্ছে।
বিক্রেতা আতিকুল ইসলাম বলেন আমি ১০/১২ বছর ধরে খড় কেনা বেচা করি খড়ের দাম এর আগে এমন দাম হয় নাই। একটা খড়ের পাড়া কিনতে আমার খরচ হয়ছে ১৪ হাজার টাকা, এখন ১৬/১৭ হাজার টাকা দাম হচ্ছে তবে ১৮ হাজার টাকার হলে আমি বেইচা দিমু।
তবে এই খড় গুলা আমি যদি ছোট ছোট ভোজা করে বেচি তাহলে একটু সময় লাগবে আবার লাভ ভালো হইবো।
অপর দিকে আরেক বেপারি মো: রুবেল মিয়া বলেন আগে খড় ক্রয় করতাম কমদামে বিক্রি করতাম অল্প লাভে। এখন ক্রয় করি বেশি দামে বিক্রি করি বেশি দামে।
খড় কিনতে আসা ফকিরপাড়া গ্রামের মিকাইল হোসাইন বলেন আমার দুইটা গরু পালার মতো খড় ছিল কিন্তু ভয়াবহ বন্যায় সব বাসিয়ে নিয়া গেছে তাই গরুর জন্য খড় কিনতাছি আর খড়ের এতো দাম মনে হচ্ছে গরু গুলো পালতে পারবো না বিক্রি কইরা দিতে হইবো । যেই খড়ের পারা আগে আমিই কিনছিলাম ৪/৫ হাজার টাকা এখন ওই খড়ের দাম ৯/১০ হাজার টাকা।
বন্যার কারনে গরু খাদ্যের সংকট ও দাম লাগামহীন হওয়ায় অনেক ছোট ছোট খামারি গরু পালনের প্রতি অনীহা প্রকাশ করছেন বলে জানান একই উপজেলার গোজাকুড়া গ্রামের রোবেল মিয়া।
আবার অনেকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে সামনে আমন ধানের ঘড়ের জন্য কৃষকদের অগ্রিম টাকাও দিয়ে রাখছেন বড় বড় গরু খামারিরা। এতে ভালো দাম পাওয়াই খুশি সাধারণ কৃষক। তবে চিন্তায় আছেন স্থানীয় সাধারণ গরু পালন কারিরা৷