যে ৩ আমল করবেন আল্লাহর ক্ষমা পেতে

আল্লাহর অনেক বড় রহমত যে তিনি বারবার গুনাহগার বান্দাকে ক্ষমা করেন।

গুনাহগার যখনই যথাযথভাবে লজ্জিত হয়, গুনাহ ছেড়ে দেয় এবং তওবা করে, তিনি তাকে ক্ষমা করে দেন। কোরআনের অনেকগুলো আয়াতে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন তিনি গাফুর ও রাহিম অর্থাৎ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। গুনাহ করে ফেললে আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হতে নিষেধ করে সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আল্লাহ বলেন, বলো, ‘হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজদের উপর বাড়াবাড়ি করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।

অবশ্যই আল্লাহ সব পাপ ক্ষমা করে দেবেন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা জুমার: ৫৩)

কোরআনের আরেকটি আয়াতে একইরকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে আল্লাহ বলেছেন, যে ব্যক্তি মন্দ কাজ করবে কিংবা নিজের ওপর জুলুম করবে তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবে, সে আল্লাহকে পাবে ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সুরা নিসা: ১১০)

এ ছাড়া নামাজ, রোজা, সদকা, জিকির ইত্যাদি নেক আমলের কারণেও আল্লাহ ছোট গুনাহ মাফ করে দেন। ভালকাজ মন্দকাজকে মিটিয়ে দেয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর তুমি নামাজ আদায় কর দিবসের দুই প্রান্তে এবং রাতের প্রথম অংশে। নিশ্চয়ই ভালকাজ মন্দকাজকে মিটিয়ে দেয়। এটি উপদেশ গ্রহণকারীদের জন্য উপদেশ। (সুরা হুদ: ১১৪)

এখানে আমরা এমন ৩টি দোয়া ও আমল উল্লেখ করছি যেগুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা সমুদ্রের ফেনারাশি পরিমাণ গুনাহও ক্ষমা করে দেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।

১. আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, পৃথিবীর বুকে যে কেউ পাঠ করবে,لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِউচ্চারণ: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ
অর্থ: আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, আল্লাহ সুমহান, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া পাপ মুক্তির কোনো পথ নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া ইবাদতের কোনো শক্তি নেই
তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনার মতো বেশি হলেও তা মাফ করে দেওয়া হবে। (সুনানে তিরিমজি: ৩৪৬০)

২. আবু হোরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন একশত বার পড়ে,
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ
উচ্চারণ: সুবাহানাল্লহি ওয়া বিহামদিহি
অর্থ: আমি আল্লাহর সপ্রশংসা সহ তার পবিত্রতা বর্ণনা করছি
তার সব পাপ মুছে দেওয়া হয়, যদি তা সমুদ্রের ফেনার মেতো বেশিও হয়। (সহিহ মুসলিম: ৬৭৩৫)

৩. আবু হোরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রতিদিন একশত বার পড়ে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলাকুল্লি শাইয়্যিন কাদীর।
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই; তিনি অদ্বিতীয়, তার কোন অংশীদার নেই, তারই রাজত্ব, তারই যাবতীয় প্রশংসা; তিনিই সব বিষয়ের উপর শক্তিধর।

তার আমলনামায় একশত নেকি লেখা হয়, একশত পাপ মুছে দেওয়া হয় এবং ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে তা তাকে রক্ষা করে। (সহিহ মুসলিম: ৬৭৩৫)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *