স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
রোগীকে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাসনাবাদের বরুণহাটে। মঙ্গলবার ওই ডাক্তারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শরীর দুর্বল হয়ে যাওয়ায় হাসনাবাদের বরুণহাটের এক স্থানীয় ডাক্তারের কাছে যান এক গৃহবধূ। কিন্তু ডাক্তার বিভিন্ন কথা বলে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে ইনজেকশন দিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করেন। জ্ঞান ফেরার পর ঘটনা না জানানোর জন্য গৃহবধূকে হুমকি দেয় ডাক্তার।
শুধু তাই নয়, আপত্তিকর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেওয়ার কথা বলে ওই গৃহবধূকে একাধিবার ধর্ষণ করেন ডাক্তার। এমনকি ভয় দেখিয়ে অভিযুক্ত ডাক্তার ওই গৃহবধূর কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা নিয়েছেন।
এই সকল অভিযোগ গৃহবধূ পুলিশকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নির্যাতিতা গৃহবধূ পুলিশকে জানান, দিনের পর দিন অত্যাচার বেড়েই যাচ্ছিল, সহ্য করতে না পেরে স্বামীকে পুরো ঘটনার কথা বলে দেন। স্বামী বাড়ি ফিরলে হাসনাবাদ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার রাতেই অভিযুক্ত ডাক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।