স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
এইচপিভি টিকার জন্য শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ১৯নং হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাওয়া বেগমের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং এলাকাবাসী এ অভিযোগ করেন।
হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী (বালিকা) ১০জন শিক্ষার্থীকে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) এইচপিভি টিকা দেয়া হয়। এ টিকার জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাসমিম, তানহা, মরিয়াম, জাকিয়া, ইয়ানুর, সুহানাসহ ১০জন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক ১’শ টাকা করে আদায় করেন। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানতে পারে এ টিকা দিতে কোন টাকা লাগেনা। প্রধান শিক্ষক তার নিজের জন্য এ টাকা উত্তোলন করেন। এতে শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
একাধিক অভিভাবক ও এলাকাবাসী বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) হাওয়া বেগম সহকারী শিক্ষক হিসেবে হরিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে ২০ বছর যাবৎ একই বিদ্যালয়ে তিনি রয়েছেন। তৎকালীন সময়ে প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার কারণে সিনিয়রিটি ভিত্তিতে তাকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়। বিগত ২০ বছর যাবৎ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শুন্য থাকা সত্বেও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে কর্তৃপক্ষকে আবেদন করা হয়নি। তিনি নিজে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকতে কোন আবেদন করেননি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সকল নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে তার খেয়াল খুশীমতো করে বিদ্যালয়ে আসতেন ও যেতেন। বিদ্যালয়ে সঠিক পাঠদান না থাকায় ৩’শ শিক্ষার্থী থেকে ১২০/১৫০ জনে নেমে আসে।
অভিভাবকরা আরো বলেন, স্কুলের টুকিটাকি খরচের জন্য স্লিপের টাকা বরাদ্ধ দেয়া হলে প্রধান শিক্ষক তার মতো করে ভাউচার জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করতেন। তারা প্রধান শিক্ষকের সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।
প্রধান শিক্ষক হাওয়া বেগমের নিকট টিকার জন্য টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি শিকার করেন।
কচুয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জামাল হোসেন জানান, এইচপিভি টিকা সরকার বিনামূল্যে দিয়েছে। এ বাবদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিধান নেই।