স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
গভীর রাতে বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধাকে রাস্তায় পেয়ে সহায়তা করায় সাংবাদিকের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে বৃদ্ধাশ্রম ব্যবসায়ী আপেল মাহমুদ।
কথিত বৃদ্ধাশ্রম ব্যাবসায়ী আপেল মাহমুদ বৃদ্ধাশ্রম ব্যবসা করে জিরো থেকে হিরো বনে গেছেন। সমাজ সেবা অফিসের অভিযোগ সুত্রে জানাযায়,কথিত বৃদ্ধাদের নিয়ে ব্যবসা করা আপেল মাহমুদ জবাব দিহি থেকে বাঁচতে তার স্ত্রীকে সভাপতি, নিজে সাধারন সম্পাদক, তার মামাতো ভাইকে কোষাদক্ষ বানিয়ে নিজের আত্নীয়স্বজনদের মধ্য কমিটি করে মেহেরুন্নেসা বৃদ্ধাশ্রম অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে।
গত ২৩ অক্টোবর গভীর রাতে একজন বৃদ্ধা তাদের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বৃদ্ধাশ্রম থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। গভির রাতে বৃদ্ধাশ্রম থেকে পালিয়ে যাওয়া বৃদ্ধের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। সে কারনে বৃদ্ধাদের নিয়ে ব্যবসা করা আপেল মাহমুদের মাথা নষ্ট হয়। ফলে বৃদ্ধাশ্রম টিকাতে সাংবাদিকের উপর মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। এই বৃদ্ধাশ্রমে দেশ ও দেশের বাহিরে থেকে আত্ম মানবতার সেবায় তিন বেলা খাওয়া, ঔষধ এবং তাদের চিকিৎসার জন্য টাকা ডোনেট করেন অনেকে। বৃদ্ধাশ্রমের নামে আদায়কৃত টাকা কোন হিসাব না দিয়ে নিজের মত করে নিজের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করে আসছে এই আপেল মাহমাুদ।
মেহেরুননেছা বৃদ্ধাশ্রমের একজন বৃদ্ধা তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় লোকজন দেখে সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে জানায়। সাংবাদিকরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিষয়ে জেনে তাতক্ষনিক জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে বিষয়টি জানায়। তাৎক্ষনিক থানা পুলিশকেও বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানানো হয়। থানা পুলিশের কোন সহায়তা না পাওয়ায় এলাকাবাসীয় সহায়তায় ভ্যানযোগে তাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো হয়।
এঘটনায় আপেল মাহমুদ নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।
মেরুননেছা বৃদ্ধাশ্রমের সেবার মান বাড়াতে কথিত এই আপেল মাহমুদকে বাদ দিয়ে নতুন কমিটি দিয়ে বৃদ্ধাদের সেবা এবং এই প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে উপজেলা প্রশাসন ও সমাজ সেবা অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল।