সারোয়ার হোসাইন :
গারো পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা। এ জনপদে প্রতি বছরের মতো দেশের অন্য জায়গার তুলনায় একটু আগেই শীতের দেখা মেলে। দিনে গরম, রাতে শীতল হাওয়া আর ভোরের ঘন কুয়াশা বলে দিচ্ছে শীতকাল আর বেশি দূরে নয়।
বুধবার (৩০অক্টোবর) ভোরে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে কুয়াশা। কার্তিক মাসের আগমনীতে ভোরের সূর্যোদয়ের মধ্য দিয়ে মিষ্টি রোদ আর সবুজ ঘাসের পাতার ওপর শিশির বিন্দু জানিয়ে দিচ্ছে দরজায় কড়া নাড়ছে শীত। কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়ে ফসলের মাঠে উঁকি দিচ্ছে আমনে ফসল। তাতে শিশির বিন্দু ছড়িয়ে দিচ্ছে মৃদু শীতলতা।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কিছুটা গরম অনুভূত হলেও রাতের প্রথম দিকে ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। ভোর রাতে চাদর বা কাঁথা গায়ে দিতে হচ্ছে। রাতের বেলায় কুয়াশা ঝরছে এবং সকালের দিকে ধানের পাতায় কুয়াশার আস্তরণ দেখা যাচ্ছে। উত্তর থেকে আসছে শিরশির বাতাস। সকাল—সন্ধ্যা ঘাসের ওপর মুক্তার মতো শিশির কনার দেখা মিলছে।
কুয়াশাছন্ন সকালে হাটতে বের হওয়া শিক্ষার্থী সাজন চন্দ্র শীল বলেন, শীতের আগমনীতে কুয়াশার মাঝে প্রকতির পরিবেশ দেখতে অনেক ভালোই লাগে। কুয়াশার সকাল মানেই এক অন্যরকম অনুভূতি। এই সময়টা আমি যেন প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই।
এ সময় এলাকা বাসি বলেন এবার এলাকায় কুয়াশা মনে হয় একটু আগেই চলে এসেছে। ভোরে শিশির জমেছে ঘাসে। এ সময়টায় এলাকায় শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়েছে। সিম, লালশাক, টমেটো, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ নানা রকমের সবজির বীজ বপন শুরু করেছেন কৃষকরা। গাছের পাতা থেকে শিশির ঝরে পড়ার টুপটাপ শব্দ আর পাখিদের কলরব আন্দোলিত করছে সীমান্তের এই গ্রামীণ জনপদকে।