স্বামী অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত, রুমে মিলল স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ ‘হত্যা না আত্মহত্যা’

স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক :

সেনা সদস্য জুবায়ের মিয়ার সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সুস্মিতা আক্তারের। বিয়ের পর স্ত্রী জানতে পারেন তার স্বামী অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ লেগেই থাকত। গতকাল মঙ্গলবার সকালে তাদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়।
তারপর দুপুর সাড়ে ১২টায় ভাড়া বাসার একটি রুমে মিলল সুস্মিতার ঝুলন্ত মরদেহ।
নরসিংদীর রায়পুরা পৌর শহরের শ্রীরামপুর কামারবাড়ী মোড় এলাকার একটি বাসায় ওই ঘটনা ঘটে। বাসাটি ভাড়া নিয়ে থাকতেন নিহতে বাবা-মা। দুইদিন আগে স্বামী-সন্তান নিয়ে সেখানে বেড়াতে এসেছিলেন সুস্মিতা।
নিহত সুস্মিতা আক্তার (২০) উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের সায়দাবাদ এলাকার ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে। অন্যদিকে জুবায়ের বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের আজিজুল হক মিস্ত্রির ছেলে। তিনি বর্তমানে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) হেড কোয়ার্টারে কর্মরত আছেন।নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য আগে থেকেই স্ত্রীর ওপর নির্যাতন করে আসছিলেন জুবায়ের।

বিয়ের সময় তিন লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়। পরে আবারও যৌতুকের জন্য শশুর-শাশুড়ি ও স্ত্রীকে চাপ দিয়ে দিতেন তিনি। এছাড়াও অন্য এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন জুবায়ের। এ নিয়ে স্ত্রী সুস্মিতার সঙ্গে জুবায়েরের কলহ লেগেই থাকত।এদিকে স্ত্রীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে পাওয়ার সময় শ্বশুরবাড়ি লোকজনের হাতে আটক হন সেনা সদস্য জুবায়ের।
এ সময় সেখানে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে জুবায়েরকে উদ্ধার করে।নিহতের বাবা ইব্রাহিম বলেন, সুস্মিতাকে খুন করা হয়েছে। তার শরীরে মারধরের আঘাত আছে। হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।এ ব্যাপারে নিহত সুস্মিতার স্বামী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

রায়পুরা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার বলেন, ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *