যে দুই কারণে বেড়েছে আলুর দাম

স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক :

 

টঙ্গীবাড়িতে মজুত করা হিমাগারের আলু খুচরা পর্যায়ে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন। রোববার উপজেলার হিমাগারগুলোতে প্রতি ৫০ কেজি বস্তা আলু বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ৩০০ টাকা দরে, যার প্রতি কেজি মূল্য ৪৬ টাকা। খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি আলু ৬০ টাকা। আলুর দাম চড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতীয় আলু আমদানি বন্ধ ও দেশীয় আলুর সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে।

কাঁচামালের আড়ত ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বাড়তি। হিমাগার থেকে খচুরা বাজারে প্রতি কেজি আলু ১৪ টাকা বেশি দরে বিক্রি হওয়ায় সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। একটি মহল পাইকারি আলু হিমাগার থেকে কিনে খুচরা বাজারে বেশি মুনাফা করার জন্যই বাড়তি দামে আলু বিক্রি করছে।

কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ৯ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ করা হয়েছিল। ২৭ হিমাগারের মধ্যে চালু রয়েছে ২৪টি হিমাগার। এসকল হিমাগারে কৃষকের বীজ আলু রয়েছে ২৭ হাজার ৬৫২ মেট্রিক টন, খাবার আলু মজুদ রয়েছে ৩৬ হাজার ১০৮ মেট্রিক টন।

ইউনুছ কোল্ড স্টোর ম্যানেজার মো. আহসান-উল রাব্বি জানান, এই হিমাগারের আলু মজুত রাখার ধারণক্ষমতা রয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার। প্রতি ৫০ কেজির জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। একজন কৃষক হিমাগারে ৯ মাসের জন্য তার আলু মজুত রাখতে পারে। তার এই হিমাগারে কৃষকের বীজ আলু মজুত রয়েছে ৩০ হাজার বস্তা এবং খাবার আলু মজুত রয়েছে ২৮ হাজার বস্তা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জয়নুল আলম তালুকদার বলেন, আলুর পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ উপজেলায় খাবার আলু মজুদ রয়েছে ৩৬ হাজার ১০৮ মেট্রিক টন, বীজ আলু মজুদ রয়েছে ২৭ হাজার ৬৫২ মেট্রিক টন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসলাম হোসাইন জানান, হাটবাজারগুলোতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকার দেওয়া নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে আলু বিক্রি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *