বিএনপি নেতা ডাক্তার শাহাদাত অবশেষে নগর পিতা

কামরুল ইসলাম :

 

নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের রায়ে বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়ায় আওয়ামী লীগ আমলে ভোটে কারচুপির প্রমাণ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।রবিবার দুপুরে শপথ গ্রহণের পর শাহাদাতকে নিয়ে শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এমন প্রতিক্রিয়া দেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ শুধু দেশটাকেই ‘ধ্বংস’ করেনি, ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে প্রতিটি নির্বাচনকে তারা তাদের মত করে সাজিয়েছিল। চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জনপ্রিয় নেতা প্রতিযোগিতা করে ‘জিতেছিলেন’। কিন্তু আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিস্টরা’ বলপ্রয়োগভাবে জনগণের ফলাফল তারা কেড়ে নিয়েছিল।”

২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি হওয়া ওই নির্বাচনে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পাওয়া নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহাদাত ধানের শীষ নিয়ে পান ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট।

প্রায় এক মাস পর ২৪ ফেব্রুয়ারি শাহাদাত নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। তাতে বলা হয়, রেজাউল করিম নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর থেকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা তার সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে দেন। এ থেকে বোঝা যায় নির্বাচনের নামে ওইদিন শুধু ‘আনুষ্ঠানিকতা’ হয়েছে।

“যে কারণে নির্বাচনে ভোটের হিসাব চেয়ে পাওয়া যায়নি। কোনো কেন্দ্র থেকে ইভিএমের প্রিন্ট কপি দেওয়া হয়নি। ভোটের দিন দুপুর পর্যন্ত ৪ থেকে ৬ শতাংশ ভোট পড়ে। কিন্তু ভোটের হিসাবে দেখানো হয় ২২ শতাংশ ভোট পড়েছে।”

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের বিচারক যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ খাইরুল আমীন বিএনপির প্রার্থী শাহাদাতকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

তারও আগে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সব সিটি করপোরেশন বাতিল করে দেওয়ায় শাহাদাত চেয়ারে বসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। তবে সব প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে শাহাদাত এখন চট্টগ্রামের মেয়র হয়েছেন, যদিও তিনি কোনো কাউন্সিলর পাচ্ছেন না। কারণ, সরকার কাউন্সিলর পদও বাতিল করে দিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমি ধন্যবাদ জানাই নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালকে তারা পূর্বের নির্বাচনকে বাতিল করে শাহাদাতকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। সেই সাথে অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানাই তারা আদালতের রায়কে মেনে নিয়ে তাকে চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে শপথ পড়িয়েছেন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *