দৌলতপুরে টিআর-কাবিটা প্রকল্পে নয়ছয় প্রকল্প শুধু কাগজে, বাস্তবে রাস্তার অস্তিত্ব নেই 

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম  :
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে ক্ষমতাবলে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচির অধীনে বাস্তবায়িত প্রকল্প নিয়ে চলছে ক্ষমতাসীনদের নয়ছয়। অভিযোগ  উঠেছে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির ।  এ প্রকল্পে রাস্তার কাজে ডিজাইন/ নমুনায় কাগজে উল্লেখ থাকে সাইড স্লোপে কাঁদামাটি ১:৩,পলিমাটি ১:২,পলিযুক্ত কাঁদামাটি ১:১.৫,পলিমাটি ১:২ কিন্তু বাস্তবে মিল নেই। সাধারনত প্রকল্প গুলোতে বেশির ভাগেই এক-তৃতীয়াংশের কাজ হয় না।
তাছাড়া কিছু কিছু প্রকল্প আছে কেবল কাগজেই। বাস্তবে কাজের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রতি অর্থবছরে টিআর ও কাবিটা-কাবিখা সংস্কার কর্মসূচির অধীনে গ্রামীণ পর্যায়ে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নে  নগদ টাকা ও খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেয় সরকার। এসব বরাদ্দে সংশ্লিষ্ট ইউপির চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করা হয়। এ কাজের তদারকি করেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা। কিন্তু তদারককারী ও বাস্তবায়নকারীদের গড়িমসির কারণে প্রকল্পের টাকা হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছে ।
জানা গেছে, ক্ষমতাবলে  ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কাবিটা প্রকল্পে চকমিরপুর ইউনিয়নের চরমাস্তুল রুপচানের বাড়ির পাকা রাস্তা হতে ছোট শ্যামপুর শহিদের বাড়ি পর্যন্ত ২লাখ টাকা বরাদ্দ হয়।  স্হানীয় বাসী বলেন এ রাস্তায় কোন কাজ হয়নি এখনো গ্রামের মানুষ একটু বৃষ্টি হলে হাটু পানি পাড় হয়ে চলাচল করতে হয়। তবে স্হানীয়বাসী মিটিং করেছে ঘরে ঘরে চাঁদা তুলে রাস্তার কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চকমিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য  নাজমা আক্তার বলেন আমাদের হাতে কাজ দিলে গ্রামীণ রাস্তার অনেক উন্নয়ন হইতো, এ রাস্তার কাজ নিয়ে অনেক ঝগড়া করছি এই কাজ করেছে ভাইস চেয়ারম্যান আবুল । তাছাড়া রাস্তার কাজের বরাদ্দ কত টাকা  হয়েছে তা কোন কিছু জানিনা। তবে রাস্তায় দুই, এক  জায়গায়  কোন রকম কাজ করছে। আমাদের ইউপি সদস্য শুধু কাগজে।
অপরদিকে খলসি ইউনিয়ন ২৩-২৪ অর্থ বছরের কাবিটা প্রকল্পে কুমিরিয়া ব্রিজ হতে ঈদগা মাঠ পর্যন্ত  ৩লাখ ৬৫হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। সরজমিনে গিয়ে দেখতে পাই রাস্তার মাঝখানে খনন করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে এক মাস আগে বালি ফেলা হয়েছে সেই বালি কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।  স্বানীয়বাসী বলেন  গত একমাস আগে ড্রেজার দিয়ে মাটি ফেলেছে রাস্তার মাঝখানে খনন করে। কিন্তু এই বালি রাস্তা থেকে একটু বৃষ্টি হলে যে লাউ সেই কদু। স্হানীয় বাসী বলেন দুই বছর মেয়াদ শেষ  হয়ে যাওয়ার পরে এখন কেন  এ প্রকল্পের কাজ করছে তা আমরা জানি না। তথ্য অনুসন্ধানে বের হলো একই গ্রামে কুমিরিয়া আক্কেলের বাড়ি হতে ঈদগা মাঠ পর্যন্ত ২৩-২৪ অর্থবছরের কাবিটা ৮৬ হাজার টাকা কাজের আরেকটি অনিয়ম।
এ রাস্তার কাজ না করে একমাস আগে রাস্তার মাঝখানে কয়েকটি জায়গায় ছোট ছোট মাটির স্তুপ করে  ফেলে রেখেছে। দুইটি প্রকল্পের কাজের বিষয়ে খলসি ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন কাজ শেষ করি নাই অফিস থেকে টাকা দেয় নাই কাজ শেষ করবো টাকা দিবে তবে রাস্তার পুরোটা ভেঙে যায় নাই জায়গায় জায়গায় ধসে গেছে। সাংবাদিক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম  কাছে এ প্রকল্প মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে কেন কাজ তা নিয়ে কোন সুদুত্তোর দিতে পারেনি। দৌলতপুর উপজেলার বাস্তবায়ন কর্মকতা (পিআইও) মোঃ মমিনুর রহমান কে মুঠো ফোনে একাদিকবার ফোন করলে ফোন রিসিভ করেননি।
উপজেলা অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত  নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আহসানুল আলম বলেন whatsapp এ ডিটেল পাঠান দেখতেছি।
জেলা প্রশাসক ডা.মানোয়ার হোসেন মুঠো ফোনে সাংবাদিক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কে বলেন আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসলে আইনগত ব্যবস্থা  গ্রহণ করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *