মোঃ মাসুদ মৃধা :
এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়। যে কোন বয়সের মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত হলে সহজেই এ রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
কিন্তু মারাত্মক (হেমোরেজি) ডেঙ্গু জ্বর হলে এবং যথাযথ চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রী এবং দুই একদিন জ্বরের পরে শরীরের তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়া।মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, মেরুদন্ডের ব্যথা, খাবারে অরুচি, বমি ভাব অথবা বমি হওয়া, পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা, শরীরে লালচে দাগ উঠা।লালচে বা কালো পায়খানা, দাঁতের মাড়ি বা মুখ অথবা পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হওয়া।হঠাৎ নাড়ির গতি অনেক বেশি বেড়ে যাওয়া, রক্তচাপ কমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট এবং অজ্ঞান হয়ে পড়া।
শরীরের ভেতরের অঙ্গ—প্রত্যঙ্গ হতে রক্তক্ষরণ এবং পেট ও ফুসফুসে পানি জমতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলে তাৎক্ষণিকভাবে সচেতন হতে হবে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ দেখা দিলে হাসপাতালে অথবা ডাক্তারের নিকট যাবেন।
ডেঙ্গু জ্বর যাতে না বাড়ে সেজন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খেতে পারেন, তবে কোন অবস্থাতেই ব্যথানাশক বা এন্টিবায়েটিক খাবেন না।রোগীর মাথায় পানি ঢালুন অথবা ভিজা কাপড় দিয়ে মুছে দিন।প্রচুর পরিমাণে তরল খাবার ও স্বাভাবিক খাবার খেতে দিন। এই রোগ থেকে বাঁচতে হলে নিজেকে সচেতন রাখতে হবে এবং প্রতি তিন দিনে একদিন জমা পানি ফেলে দিন।দুই দিনের বেশি সময়ের জন্য বাড়ির বাইরে গেলে সকল বালতি, বদনা, মগ, হাড়ি—পাতি মুক্ত করে রাখুন এবং টয়লেটের কমোড অথবা প্যান ঢেকে রাখুন।দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় মশারী ব্যবহার করুন।মশার কামড় এড়াতে গা—ঢাকা হাল্কা রঙের পোশাক পড়ন।
অফিস অথবা বাড়ির ছাদ এবং চারপাশ নিয়মিত পরিষ্কার করুন। আপনি নিজে সুস্থ থাকুন অন্যকে সুস্থ রাখুন ডেঙ্গু জ্বর থেকে নিরাপদে থাকুন।