প্রভাস চক্রবর্ত্তী;
আজ দীবার জন্ম। আনন্দের সীমা ধরেনা । চোট্ট দীবার একটি আবদার জন্মদিনে কেক কাঁটা। গতকাল রেললাইনের সমানে থেকে রিক্সাযোগে বাড়িতে আসার পথে তার মাও কাকীমার সামনে আমাকে বলছে ডাক্তার জ্যেঠু আমার জন্মদিনে আসবেনা? আমি বললাম মা মনি তোর জন্মদিনে না এসে পারি? রোগী চাপে আমি রাত ৯.৪০ তাদের বাড়িতে পৌঁছলাম । ততক্ষনে কেক কাঁটা হয়ে গেছে। আমার জন্য দৌঁড়ে গিয়ে কেক নিয়ে এসে আমাকে বলছে, জ্যেঠুমনি কেক খাও। খুব সুস্বাদু কেক খেলাম।
দীবার বাবা হচ্ছেন আমাদের লোকনাথ মন্দিরের পরিচানা পরষদের একজন সফল সাধারণ সম্পাদক, অনিল দে।
সে বয়সে আমার ছোট হলেও খাওয়া দাওয়া, উঠা বসা, বন্ধুরমত। তাঁর ব্যক্তিত্ব,চিন্তা চেতনা,অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়া,সংঘাতছাড়া কৌশলে দ্রুতসমাধান, মন্দিরের উন্নয়নমুলক কাজে তাঁর অবদান অনেক বেশী। সে মিষ্টি ভাষার অধিকারী। এসব গুনাবলির জন্য সে সবার প্রিয়।
রাতের খাবার তাঁদের পরিবারের সবায় এক সাথে খেলাম।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন, উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি তাপস চক্রবর্ত্তী (মিঠু), সাধারণ সম্পাদক সুমন কর, রিংকু দত্ত,সুব্রত দত্ত রাজু, ইসকান্দর চৌধুরী, গৌতম চক্রবর্ত্তী,সুহৃদ ক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক সুমন দে, প্রদীপ দে,এবংঅন্যান্য ব্যক্তিবর্গ, পরিবারের সদস্য,ও সদস্যাগন।
প্রতিটা জন্মদিন শুরু হয় অদ্ভুত একটা অনুভূতি নিয়ে। দিনটা আর সব দিনের সাথে মেলানো জায়না। মনের মধ্যেই ফিলিংসটা ওভাবে আসেনা। নিজেকে দিনটা থেকে আলাদা মনে হয়, নাকি দিনটাকে নিজের থেকে আলাদা, ভাবতে থাকি। দীবার জন্মদিনের কালকে সবায় খুবই আনন্দ করলাম।
আর এ দীবামনির আনন্দ সীমানেই।
আমার মনে হচ্ছে প্রত্যেক চোট্ট বাচ্চাদের এ দিনটাকে স্বরন করে রাখার জন্য জন্মদিন পালন করা উচিত।
দীবার আগামী দিনগুলো সুস্থতাথেকে সুন্দর ও তারপরিবার সহ শান্তিতে থাকুক সৃষ্টি কর্তার কাছে এটায় প্রার্থনা।