স ম জিয়াউর রহমান;
সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এবং নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগের আয়োজনে সোমবার (২৫ নভেম্বর ২০২৪) দুপুরে হেগে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের সামনে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশ শেষে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের প্রেসিডেন্ট বরাবর অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়। আদালতের একজন কর্মকর্তা অভিযোগ পত্র গ্রহণ করেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষে এই অভিযোগ পত্র হস্তান্তর করেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি, অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান রহমান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জামান ও মুরাদ খান প্রমুখ।
বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংখ্যালঘুদের ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, তাদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি ও চারবারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরকারী চেপে বসা অপশক্তির অবৈধ সরকার প্রধান ইউনূস ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং তাদের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের প্রেসিডেন্ট নাওয়াফ সালাম বরাবর দেওয়া অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার দুশমন আন্তর্জাতিক অপশক্তি তাদের দোসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, জামায়াত, শিবির ও বিএনপিকে দিয়ে সারা দেশে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটতরাজ, মন্দির-গির্জা ভাঙচুর, সংখ্যালঘুদের হত্যা, পুলিশ-আনসার হত্যা, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা, সংসদ ভবন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস, বিটিভিসহ সরকারী-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা করে ব্যাপক ক্ষতিসাধনের মধ্য দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে নির্বাচিত সরকারপ্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জোর করে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করে।
তিনি দেশত্যাগের পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলকারী তাবেদারা বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রাম শাখা কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা, সংখ্যালঘু ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের নির্যাতন, হত্যা, নৈরাজ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে এবং এখনও করে চলছে। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ ও ১৫ই আগস্টসহ আটটি জাতীয় দিবস বাতিল ঘোষণা করেছে। দেশের প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে। বাঙালির মুক্তি আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। দেশে কারো ন্যুনতম নিরাপত্তা নেই। স্বারকলিপি দাতারা আরো বলেন, ‘আমরা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাস করি। কিন্তু আমাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে আছেন, ওখানে আমাদের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি আছে। বাংলাদেশে আমাদের পরিবারের অনেক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের সম্পত্তি লুট করা হয়েছ।
আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।
আপনাদের কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, সংখ্যালঘুদের ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, নির্যাতন, হত্যা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রত্যক্ষ মদদদাতা বাংলাদেশের অবৈধ সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার করে তাকে শাস্তি দিন। বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষকে রক্ষা করুন।’
উল্লেখ্য, এই প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের শেষ পর্যায়ে ছিল বক্তব্য পর্ব।
এতে সভাপতিত্ব করেন নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগ নেতা মো: এমদাদ হোসেন। সঞ্চালনা করেন নেদারল্যান্ডস আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা জামান ও মুরাদ খান।
প্রধান অতিথি ছিলেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজেদুর রহমান ফারুক, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন, নেদারল্যান্ডস, ইতালি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মান, বেলজিয়াম, স্পেন, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, পোল্যান্ড, সুইডেন, পর্তুগাল, গ্রীস, মাল্টা, ফিনল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, আয়ারল্যান্ড, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া ও ক্রোয়াশিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ।