স্টাফ রিপোর্টার :
চট্টগ্রাম মহানগরের চান্দগাঁও খানাধীন বহাদ্দার হাট এলাকায় দীর্ঘদিন যাবদ আবাসিক হোটেল নিরিবিলিতে চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। এ যেন দেখার কেউ নেই । গত বছর চট্টগ্রাম বহাদ্দার হাট আবাসিক হোটেল গুলজার ও আবাসিক হোটেল নিরিবিলি থেকে ৪০ জন পতিতা ও খদ্দরকে আটক করেছিল। আবাসিক হোটেল নিরিবিলির মালিক সিরাজ অবৈধ ব্যবসা করে কামিয়েছেন লাখ লাখ টাকা । আবাসিক হোটেল নিরিবিলিতে মাদকসেবীদের আড্ডা খানায় পরিনত হয়েছে ।
এ বিষয় হোটেল মালিক সিরাজের সাথে কথা বললে সিরাজ বলেন আমি দীর্ঘদিন যাবদ ব্যাবসা করি আমার সাথে কারো কোনে দ্বন্দ্ব হয় না কারণ আমি সবকিছু ম্যানেজ করে চলি। সিরাজ আরো বলেন গত ১৯ অক্টোবর চান্দগাঁও থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮ জন তরুন তরুনিকে আটক করে নিয়ে যায় । যার মধ্যে ৪ জন পতিতা ও ৪ জন খদ্দর । আপনারা সাংবাদিকরা শুধু মাত্র আমার হোটেল টিকেই দেখেন। অথচ আমার পাশে বড় আকারে ব্যাবসা করছে আবাসিক হোটেল গুলজার যা আপনাদের চোখে পড়ছে না। সিরাজ আরো বলেন আবাসিক হোটেল গুলজারের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে চট্টগ্রামের নামি দামি সাংবাদিকদের।
যার কারনে আপনাদের নজরে আসে না । বহদ্দার হাট মেয়র গলির স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন এইসব আবাসিক হোটেলে পতিতা বানিজ্যর কারনে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বসবাস করা দুস্কার হয়ে দাড়িয়েছে। মানইজ্জত নিয়ে বসবাস করা কঠিন । থানা পুলিশকে বলে লাভ নেই, পুলিম এক দিকে দু—চার জনকে দরে নিয়ে যায় অপরদিকে পুলিশ যাওয়ার সাথে সাথে অবৈধ ব্যাবসা শুরু করে । পুলিশকে জানালে পুলিশ বলে কিছুক্ষন আগে দরে নিয়ে আসলাম আবার কি যাওয়া সম্ভব । আমাদের কি অন্য কোনো কাজ নাই।
এ বিষয় জানার জন্য চান্দগাঁও থানার ওসির সাখে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাকে। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই বন্ধ হবে আবাসিক হোটেল নিরিবিলির অসামাজিক কার্যকলাপ। শান্তিতে বসবাস করতে পারবে স্থানীয় মানুষ।