মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প মাদকের শীর্ষে, নেপথ্যে চোয়া সেলিম

স্টাফ রিপোর্টার:

এ যেন বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মাঝে আরেকটি দেশ, যেখানে ভয় ,সংকোচ, দ্বিধা ,মানবতা, বিবেক ,কোনটার স্থান এখানে নাই।
ক্ষমতা অধিপত্য চাঁদাবাজি সন্ত্রাস মাদক তাদের জীবনের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।
রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পাশে সংসদ ভবন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এলাকায় প্রায় অর্থ লক্ষ্যের বাসিন্দার একটি ক্যাম্প মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প।
এমন কোন মাদকদ্রব্য নেই যা এখানে মিলবে না, ঢাকার যে কয়েকটি স্পট মাদক কারবারের জন্য কুখ্যাত তার মধ্যে মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প সবার শীর্ষে।

পুলিশ র‍্যাব ও বিজেপির সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধেও নিহত হয়েছিল একাধিক ।মোহাম্মদপুরের গাজনবী রোড বাবর রোড শাজাহান রোড হুমায়ুন রোড ঘিরে অবাঙালিয়ান ক্যাম্প যা জেনেভা ক্যাম্প নামে পরিচিত। এসব সড়কে পুলিশের কড়া তল্লাশি চৌকি বা চেকপোস্ট রয়েছে-এসকল চেকপোস্ট ও তল্লাশি চৌকি পার হয়ে কিভাবে প্রবেশ করছে মরণ নেশা সব ধরনের মাদক?
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় জ্বালাও পোড়াও অগ্নিসংযোগ দেশের অস্থিরতা বিরাজ করলে বিশেষত মোহাম্মদপুর এবং আদাবর থানায় অগ্নিসংযোগ কালে অস্ত্র লুটের বিশেষ ভূমিকা রাখে এই বেহারী ক্যাম্পের শীর্ষে থাকা মাদকের গডফাদার চুয়া সেলিম। বিভিন্ন সময় মাদকের নিয়ন্ত্রণ আনতে অধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে ক্যাম্পের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এই চোয়া সলিম গং এর সদস্যরা।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক টানা অভিযান, গ্রেপ্তারেও থেমে নেই রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে মাদক কারবারি, সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ। চলমান যৌথ অভিযানে কয়েক শতাধিক মাদক কারবারি, সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও মাদক কারবার নিয়ে আধিপত্য বিস্তার, সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন গ্রুপের সংঘাত চলেই আসছে। ক্যাম্পের ভেতরে বানানো হচ্ছে বোমা।

ক্যাম্পের প্রত্যেকটি গ্রুপেই একাধিক মাদক কারবারের গ্রুপ রয়েছে। মূলত ছোট ছোট গ্রুপের মাধ্যমে মাদক বিক্রি করা হয়। মাদক বিক্রির স্পটগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন কিশোর গ্যাংকেও ব্যবহার করা হয়। অপরদিকে প্রধান গ্রুপ ও গ্রুপের সদস্যরা প্রশাসন, ক্যাম্পের অন্যান্য সমস্যা এবং রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের কাজ করে থাকে।

একসময়ের আওয়ামী লীগের হয়ে প্রশাসন এবং সকলের ধরাছোয়ার বাইরে থেকে নিয়ন্ত্রণ করলেও বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির সমর্থিত একজন সক্রিয় কর্মী বলেও দাবি করেন যা সত্যিই খুব হাস্যকর।

সুএ জানাই ক্যাম্পের ভেতরে তারা নিজেরাই বোমা তৈরি করছে। সবশেষ রাজ নামে যে ব্যক্তি খুন হয়েছে সে হাত বোমার আঘাতেই মারা গেছে। এসব বোমা তারা নিজেরাই তৈরি করছে। গানপাউডার, ভেতরে কিছু লোহার টুকরা ও জরদার কৌটা ব্যবহার করা হয়।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে জানা যায়, বিভিন্ন সময় বোমা বানানোর জন্য মোটা অংকের টাকা বরাদ্দ দেয় চুয়া সেলিম।বোমা অনেকেই বানাতে পারে। তবে এটা অনেক ঝুঁঁকিপূর্ণ হওয়ায় এখন অল্প কয়েকজন কাজ করে। তথ্য আছে এর আগে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বোমা বানাতে গিয়ে একজন মারা যায়।

জানা গেছে, গত ২-৩ মাস আগেও মাদকের কালো থাবা কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকলেও বর্তমানে একেবারে লাগামহীন।রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্প এখন মাদকের ‘হটস্পট’। বর্তমানে এখানে প্রকাশ্যেই চলছে মাদক বেচাকেনা। ক্যাম্পের ঘিঞ্জি পরিবেশে গড়ে উঠেছে বিশাল মাদকের সাম্রাজ্য। হাত বাড়ালেই মিলছে ভয়ংকর সব মাদক।

এখানকার অসংখ্য অলিগলি আর ঘুপচি ঘরে অর্ধলক্ষের বিহারির বাস। রয়েছে ৯টি সেক্টর। এসব সেক্টর ঘিরে গড়ে উঠেছে মাদকের আলাদা আলাদা শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ঢাকার বাইরে থেকে আসা মাদকের বড় মজুদখানাও এ ক্যাম্প বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এটিকে পুরো রাজধানীর মাদকের ডেরা বললেও ভুল হবে না। মাদককে কেন্দ্র করে ক্যাম্পে অধিপত্য বিস্তারের ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটছে।বিভিন্ন সময়ে মাদক কারবারিরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতার করলেও তারা জামিনে বের হয়ে আবারো জড়াচ্ছে ভয়ংকর মাদক কারবারিতে।

মোহাম্মদপুর মাদকের শীর্ষে থাকা বুনিয়া সোহেলকে নিয়ে গ্রেপ্তারের আগে ও পরে মুখরোচক অনেক গল্প তৈরি হলেও শীর্ষে নিয়ন্ত্রণ কারী হিসেবে অধিপত্য বিস্তারে তান্ডব লীলা সৃষ্টি করে চোয়া সেলিম গ্রুপ। এমন একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য আসে আমাদের হাতে। পাড় মনু, ইমতিয়াজ, শাহ আলম, রনি সাবেক ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ নুরুল ইসলাম রাষ্ট্রনের হয়ে ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে দেশীয় অস্ত্র ,ভারী অস্ত্র , হাত বোমা ব্যবহার করে ক্যাম্পে বিভিন্ন সময় অস্থিরতা তৈরি করে। তৎকালীন প্রশাসন ও স্থানীয়…………………(আরও বিস্তারিত আসছে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *