স্টাফ রিপোর্টার :-
মাদক কারবারি সিন্ডিকেটের ইন্ধনে টেকনাফে দায়িত্বরত থাকা কোস্টগার্ডের লেঃ কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিদের নির্দেশে র্যাবের সহযোগিতায় বাড়ি থেকে মধ্যরাতে তুলে নিয়ে গিয়ে সাজানো মিথ্যা বানোয়াট মামলার শিকার হয়েছেন গণমাধ্যমকর্মী মোঃ সোহেল। এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাব, কক্সবাজার আদালত চত্বরসহ দেশের বেশ কিছু জায়গায় মানববন্ধন করেছিলেন সাংবাদিক নেতা ও পেশাদার সাংবাদিকরা। এবিষয়ে টেকনাফে দায়িত্বরত পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ডেরও অনেক সদস্যরা সাংবাদিক সোহেল ষড়যন্ত্রমূলক সাজানো মিথ্যা মামলার ফাঁদে পড়েগেছেন বলে স্বীকার করে আসছে। র্যাব -১৫ সিপিপি ১ এর নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক সদস্যরা পরিপূর্ণ ঘটনা কোস্টগার্ডের সাজানো বলেও জানান। তবে আজ দুই মাস অতীত হয়েগেলেও মিথ্য মামলা প্রত্যাহার হয়নি। যা নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে আলোচনা, সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। যেকোনো সময় সাংবাদিকদের নিয়ে আন্দোলনের ডাক দিতে পারে সাংবাদিকনেতারা । বর্তমানে মামলাটি টেকনাফ মডেল থানায় তদন্তাধীন রয়েছে। লেঃ কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিদের দূর্নীতি ও ঘোষ বানিজ্যের অভিযোগের শেষ কোথায়? সত্যতা পাওয়ায় তাকে বদলি করা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্ন বদলী আবার কোন প্রকার শাস্তি!
গণমাধ্যমকর্মী মোঃ সোহেল বলেন, গত ১০ অক্টোবর ২০২৪ ইং রাত ২. ০০ ঘটিকায় আমাকে বাড়ি থেকে কোস্টগার্ড ও র্যাবের একদল লোক আমার বৃদ্ধা মাকে হুমকিধমকি দিয়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাকে তুলে নিয়ে আসে। সেখানে নেতৃত্ব দিতে দেখি টেকনাফ কোস্ট গার্ডের স্টেশন কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিদকে। দোষ কি জিজ্ঞেস করলে মৃত্যুর হুমকি দিয়ে বসেন আমাকে। পরে বাড়ি থেকে বাহির করে কিছু দূরে আরেকটি বাড়িতে নিয়া যায়। সেখানে দেখি টেকনাফ র্যাব-১৫ সিপিপি ১ এর কোম্পানি অধিনায়ক তৌহিদুল মুবিন খান।পরবর্তী কাটাবনিয়া ইসলামিয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে দেখি আরও ছয়জনকে হাতে হাতকড়া পরিয়ে বসিয়ে রেখেছে কোস্ট গার্ড ও র্যাব সদস্যরা। তারা হলেন, মাদ্রাসা ইসলামিয়া এমদাদুল উলুম মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মওলানা মনির আহমেদ, তার ছেলে শহিদুল ইসলাম, তোফায়েল, আনু মিয়া, জিয়াবুল ইসলাম, মাহাবুব সাথে আমাকে যুক্ত করে মোট সাতজন করলো। অন্ধকারের আড়ালে কয়েকজন লোক এসে লেঃ কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাসজিদের সাথে কথা বলেন, তার ফোনের মধ্যমেও কয়েকজনের সাথে কথা বলতে দেখা যায়। কথা কি বলেছেন সেটি দ্বিতীয় পর্বে উল্লেখ করবো। কথা শেষে চারজনকে ছেড়ে দিয়ে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি চলে যেতে বলেন। কিন্তু আমি সহ তিন জনকে আটকে রেখে দিল! পরে টেকনাফ মডেল থানার একটি পুলিশ টিম যায় এসআই ফয়সালসহ তার সঙ্গীয় ফোর্স। ফয়সাল আমাকে দেখে অবাক হয়েছে কারণ অনেক কাছ থেকে চেনে আমাকে, তাকে বল্লাম ফয়সাল ভাই এরা আমাকে এতো রাতে কেন বাড়ি থেকে তুলে এনেছে একটু জিজ্ঞেস করেন । ফয়সাল বল্ল ভাই আমারতো এখানে কিছু বলার ক্ষমতা নেই। পরে একটি মাইক্রো গাড়িতে করে আগে পিছনে কোস্ট গার্ড র্যাবের গাড়ি মহড়ায় টেকনাফ বড়ইতুলি র্যাব -১৫ ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে সকাল ১০ টা পর্যন্ত রাখে। পরে কেরুনতুলি কোস্ট গার্ড স্টেশনে নিয়ে গিয়ে বিভিন্নভাবে নাটকীয় ভিডিও শুরু করেছে যেখানে ২৩ টি দা, কিরিস, তলোয়ার দিয়েছে। আমি সাংবাদিক ডেকে সংবাদ সম্মেলন করতে বলাই ক্ষিপ্ত হয়ে আমার একটি আঙ্গুল ভেঙ্গে দেয়। আমার উপর এই নির্যাতন দেখে নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক তাদের কয়েকজন জুনিয়র অফিসার লেঃ কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিদ ও কোম্পানি অধিনায়ক তৌহিদুল মুবিন খানের জন্য জেল থেকে এসে মামলা করতে বলেন আমাকে। পরে নয়, ছয় করে পুরো দিনটা কাটিয়ে দেয় কোস্ট গার্ড ও র্যাব অফিসে আনা নেওয়া ও সাজানো গল্পের মধ্যে। তার কারণ সেইদিন আদালত খোলা রয়েছে। যদি সেই দিনই আদালে পাঠালে দিনে দিনে জামিন হয়ে যেত তাহলে মাদক কারবারিদেরকে দেওয়া ওয়াদা ভঙ্গ হয়ে যেত তাদের। কোস্ট গার্ডের মোস্তাক নামের একজনকে বাদি করে একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করে। পরে রাতে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করে। যে মামলায় আমাকে তিন নাম্বার আসামি করা হয়েছে। তারা ঘটনাটিকে সত্য প্রমাণ করার জন্য যৌথ বাহিনীর অভিযান দেখালেও সেখানে কোস্ট গার্ড, র্যাব ছাড়া অন্য কোনো বাহিনী ছিলনা এমনকি সেনাবাহিনী, বিজিবি পর্যন্ত ছিলনা। পরের দিন আদালতে পাঠালে পূজার বন্ধ থাকায় সরাসরি কারাগারে প্রেরণ করে আদালত। তিন দিন পর আদালত বসলে জামিন দেখা হয় আমাদের জন্য। সেখানেও আমাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীরা সাতজন আইনজীবী দাড় করেন। আদালত তা দেখে মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ধারণা করতে সহজে সক্ষম হয়েছে। আইনজীবীদের কথার মধ্যে আমাদের জন্য অতিরিক্ত ক্ষোভ দেখে সাথে সাথে জামিন দিয়ে দেয় ম্যাজিস্ট্রেট। টেকনাফ থানার একজন এসআই মামলার আইও ঘটনাটি তদন্ত করে মিথ্যা জানতে পেরে সাংবাদিক মোঃ সোহেলকে বাদ দেওয়া হবে বলে অনেক সাংবাদিককে জানিয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় দুই মাস পার হয়ে গেলেও বাদ দেয়নি আদৌ।আমি বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টাগণদের প্রতি ও প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্শন করছি আমাকে দেওয়া এই মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার চাই। মাদক কারবারিদের উন্মুক্ত করে দিয়ে আমার কলমের চেপে ধরা গলা ছেড়ে দিন। দ্বিতীয় পর্বে থাকছে মাদক কারবারি গংয়ের দূর্নীতিসহ বিস্তারিত।