মোঃ মনির;
গতকাল ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং, শনিবার, বাদ আসর অনুষ্ঠিত এ মাহফিলে ইসলামিক জ্ঞান ও আলোচনা দিয়ে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব তানভীর আহমেদ রবিন, সদস্য সচিব, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদুর রহমান মঞ্জু ( ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কদমতলী থানা ) এবং হাজী ইউসুফ আলী ভূইয়া (সভাপতি, ৬০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি)। আরও উপস্থিত ছিলেন বহু বিশিষ্ট অতিথি, যারা তাদের মূল্যবান উপস্থিতি ও দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং সমাজসেবীসহ পলাশপুরের অসংখ্য সাধারণ মানুষ এই মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা আব্দুল কুদ্দুস ফারুকী, যিনি মারকাজুল হুদা মাদ্রাসা, ঢাকার প্রধান মুফাসসির। তাঁর গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শ্রোতাদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছে। অন্যান্য আমন্ত্রিত আলোচকদের মধ্যে ছিলেন হাফিজ আহমদ আমিনী (পলাশপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব), মুফতি নাসিরউদ্দিন রাহমানী (শায়খুল হাদীস ও মুহতামিম, জামিয়া আরাবিয়া ডিলালপুর, কিশোরগঞ্জ), মুফতি ইকবাল হুসাইন, মুফতি আরিফ বিন বাশার, মাওলানা মাহমুদ হাসান দিদার এবং হাফেজ মাওলানা আহমদ শফি ফুয়াদ।
বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ক্বারী হাফেজ মাহবুবুর রহমান, যিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ক্বেরাত প্রশিক্ষক। তাঁর তেলাওয়াত উপস্থিত শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, যুব সমাজের নেতারা এবং বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা মাহফিলের সুষ্ঠু আয়োজন ও সফলতার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের ধর্মীয় কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া তরুণ প্রজন্মের সক্রিয় অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানের প্রাণশক্তি ছিল, যা এই মাহফিলকে একটি বৃহত্তর সামাজিক ও ধর্মীয় উৎসবে পরিণত করেছে। মাহফিল শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
অনুষ্ঠানটি যুব সমাজের উদ্যোগে একটি সুশৃঙ্খল এবং ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পরিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এটি ধর্মীয় ও সামাজিক চেতনার উন্মেষ ঘটাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
আয়োজকদের মধ্যে ছিলেন: মোঃ মামুন মৃধা, শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম মৃধা, জালাল উদ্দিন,মিজানুর রহমান ও মোঃ ইকবাল।
তাঁদের নেতৃত্ব, সহযোগিতা ও দায়িত্বশীল মনোভাব এই মাহফিলকে সফল এবং সুশৃঙ্খল করে তুলেছে। পুরো পলাশপুরের মানুষ তাঁদের এই উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞ।