মো: হাসান:
যাত্রাবাড়ি থানার ওসি মুখে মুখে ভালো কথা বললেও হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেপ্তার করতে অনীহা প্রকাশ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা—৫ আসনের প্রধান সম্বন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম—আহ্বায়ক আলহাজ নবী উল্লাহ নবী।
রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর কদমতলীর আম্বিয়া বানু পার্টি সেন্টারে ‘সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। শ্যামপুর, কদমতলী অ্যান্ড যাত্রাবাড়ী থানা প্রেসক্লাব এই সভার আয়োজন করে। নবী উল্লাহ নবী বলেন, সাংবাদিকরা সত্য বললে, সত্য লিখলে মানুষের মৌলিক অধিকার অটোমেটিক আদায় হবে।
আমরা দেখেছি বিগত ১৬ বছরে সাংবাদিকরা সত্য লিখতে পারেনি, সত্য বলতে পারেনি। সাংবাদিকরাই রাষ্ট্রের মেরুদন্ড। শ্যামপুর, কদমতলী অ্যান্ড যাত্রাবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকাশের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এমদাদুল হক মিলনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— ঢাকা ০৫ আসনের প্রধান সম্বন্বয়ক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম—আহ্বায়ক আলহাজ নবী উল্লাহ নবী। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম—আহ্বায়ক আ. ন. ম. সাইফুল ইসলাম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নবী উল্লাহ নবী বলেন, বিগত দিনে সাংবাদিকরা না লিখতে লিখতে তাদের কলমের ধার কমে গেছে। কলম ভোতা হয়ে গেছে। আমি আপনাদের বলব, কলমের ভোতা নিপটা ফেলে দিন, কলমে ধার দিন। আপনারা অন্যায়ের বিরদ্ধে লেখুন। চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী এবং দখলবাজদের নিয়ে লেখুন। বর্তমানে দেশে চাঁদাবাজির মহড়া চলছে সাংবাদিকরা তা লিখছে না।
যদি আমিও কোনো অন্যায় কাজে লিপ্ত হই, আপনারা আমার বিরদ্ধেও লেখবেন। দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর দেশে যে হরিলুট চলছে তা সাংবাদিকরা লেখে না, এখনো তারা সাহস পাচ্ছে না মস্তব্য করে নবী উল্লাহ নবী বলেন, এখনো থানার ওসিরা ব্যালেন্স করে চলে। তারা এখনো ভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। তিনি বলেন, আমি ওইদিন যাত্রাবাড়ী থানায় গেলাম, ওসি ছাত্রদলের সাবেক নেতা, এই সেই পরিচয় দিয়ে মুখে ফ্যানা তুলে ফেলছে। আলোচনা সভায় শ্যামপুর, কদমতলী অ্যান্ড যাত্রাবাড়ী থানা প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ এবং সেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মো. নাসির মোল্লা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক দলের সদস্য সচিব মীর হাসান কামাল তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সদস্য জামশেদুল আলম শ্যামল, ৫০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাকিল মোল্লা, ৫১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ টিপু, ৬১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক হাজী মো. শাহ আলম, সদস্য সচিব হাজী মো. মাসুদ আলী, ৬২ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক নূরুল আমিন, ৬০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব আলম, ৬৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন খাঁন রিপন, সেলিম রেজা—বিএনপি নেতা, আনিসুজ্জামান প্রমুখ। এ ছাড়াও বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও অঙ্গ সংগঠনের অন্যান্য নেতা—কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।