স্টাফ রিপোর্টারঃ
সারা বিশ্বের ন্যায় আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মিয় অনুষ্ঠান বড় দিন পালিত হবে। প্রতি বছরের ন্যায় ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৫২টি গীর্জায় ৫০০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। চাল বিতরণের পূর্বেই প্রতিটি গীর্জার সভাপতির নিকট চালের পরিবর্তে টাকা দেওয়া হয়েছে।
জানাযায়, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা যোগসাজশে ২৬ টন চাল ভাউচারের মাধ্যমে বিতরণ দেখিয়ে চালগুলো গুদামেই রেখে দেওয়া হয়েছে। ফলে উপকারভোগীরা প্রকৃত চালের মুল্য থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সরকারী ভাবে প্রতি গীর্জায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পাঁচশ কেজি চাউল, যার বর্তামান মুল্য পঁচিশ হাজার টাকা। উপজেলা খাদ্য গুদামের এলএসডির যোগসাজশে চাউল বিতরণে তিন দিন পূর্বে ১৭ হাজার টাকা দিয়ে বিদায় করা হয়েছে গীর্জার সভাপতিদের । এবিষয়ে কাটাবাড়ী ইউনিয়নের কুটপাড়া ব্যাপ্টিষ্ট চার্চ এর সভাপতি জানান চার বছর পূর্বে আমি সভাপতির পদ ছেড়ে দিয়েছি তার পরেও আমার নাম তালিকায় কেন আমিতো চাল বা টাকা কিছুই পাইনি। পরে চার্চের বর্তমান সভাপতি জানান, আমাকে ডেকে বলা হলো আপনার নামে সতের হাজার পাঁচশত টাকা বরাদ্দ এসেছে তারমধ্য খরচ বাদ দিয়ে আপনি যোল হাজার সাতশত টাকা পবেন। পরে তাকে উক্ত টাকা দিয়ে বিদায় করা হয়। ভেউর গ্রাম রিভাইবেল চার্চ এর সভাপতি শৈলেন হাসদা জানান, আমরা সতের হাজার টাকা পেয়েছি। কত তারিখে টাকা পেয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন,১৮ই ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার।
বর্তমান বাজার মুল্য হিসাবে প্রতি গীর্জার বরাদ্দ থেকে আট হাজার টাকা লাভ করেছে গুদামের উপখাদ্য কর্মকর্তা মোঃ হাসনাত জামান। শুধু ভাইচারের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় দেখিয়ে চার লক্ষ যোল হাজার টাকা শুভাঙ্করের ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক গুদাম সংশ্লিষ্ট এক কর্মচারী জানান, এছারাও ঐ বিতরণকৃত চাল গুলো পূর্নরায় ক্রয়,বিক্রয়ের লেবার বিল,সমপরিমান বস্তা বিক্রি,পরিবহন বিল সহ প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা শুভাঙ্করের ফাঁকি দেওয়া হয়। একারনে চাল বছর বছর গুদামে থাকার কারনে নষ্ট হয়। পরে সেই পঁচা চাল মাঝে মাঝে খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির ডিলারের মাধ্যমে বিতরন করা হয়। যা মানুষের খাওয়ার উপযোগী নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্যগুদাম উপখাদ্য কর্মকর্তা(এলএসডি) মোঃ হাসনাত জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান,এখনও চাউল বিতরন হয়নি। চাউল বিতরন না হলে সুবিধাভোগীরা কিভাবে টাকা পেল এমন প্রশ্নে তিনি জানা আমি জানি না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা জানান, সুবিধাভোগীদের নিয়ে আমি মিটিং করছি বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।