সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা স্কয়ার স্পেশালাইজড হসপিটালে আইন অমান্য করে রোগী দেখছেন চিকিৎসকরা

এটিএম মাজহারুল ইসলাম, ব্যুরো চীফ (কুমিল্লা):

হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য লাইসেন্সের আবেদন করেই কোন প্রকার কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না বলে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছেন কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার।

লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্র না থাকায় কুমিল্লা চান্দিনা মোকামবাড়ি সংলগ্ন স্কয়ার স্পেশালাইজড হসপিটাল সহ মোট ৬টি হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার এর কার্যক্রম সাময়িক বন্ধের নির্দেশ দেন জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ রেজা মোঃ সারোয়ার।

তবে এখনো স্কয়ার স্পেশালাইজড হসপিটালে সকল প্রকার কার্যক্রম গোপনীয়তার মাধ্যমে করে চলছে। স্কয়ার স্পেশালাইজড হসপিটালটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণার পরও হাসপাতালের গেইট খুলে চিকিৎসকেরা তাদের চেম্বারে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন।

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে লাইসেন্স সহ কিছু কাগজপত্রের ঘাটতি থাকায় এটি বন্ধ করা হয়েছে। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা হয়েছে এবং লাইসেন্স পাওয়ার পরই সকল কার্যক্রম চালু করবো।

তবে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ইং) বেলা ১২টায় স্কয়ার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি ঘুরে দেখা যায়- ১০ থেকে ১৫ জন রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে অপেক্ষা করছেন। অনেকেই চিকিৎসা নিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন। এক মহিলা রোগী ঐ হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর স্বামীর সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন । তিনি বলেন, ‘ডাক্তার দেখাইতে আসছিলাম। দেখানো শেষ, তাই বাসায় চলে যাচ্ছি। চেকআপ করানোর জন্য ডাক্তারের কাছে আসতে হইছিল।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ এস. ইউ সৌরভ। তিনি বলেন, ‘আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি হাসপাতালটিকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য। কিছু রোগী চলে আসেন, যাঁরা এখানকার চিকিৎসকদের পূর্বপরিচিত। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয় না। ব্যক্তিগতভাবে চিকিৎসকেরা তাঁদের পরামর্শ দেন। হাসপাতালের কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবেই বন্ধ রাখা হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আরিফুর রহমান বলেন, ‘সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়ার পর লাইসেন্স প্রাপ্তির জন্য ঐ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আবেদন করেছে। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে পরিদর্শন করার স্বার্থে তারা খোলা রেখেছে বলে আমাদের জানিয়েছে। তবে কোনোভাবেই চূড়ান্ত লাইসেন্স পাওয়ার পূর্বে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুযোগ নেই। সেখানে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে এমন অভিযোগ আগেও এসেছে। এখন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *