স্টাফ রিপোর্টার:
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানায় ও ডিবিতে দফায় দফায় ফিরে আসা কতিপয় পুলিশ অফিসারের কারণে বিভাগীয় শহরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হচ্ছেনা বলে স্ব স্ব এলাকার সুশীল ব্যক্তিরা জানিয়েছেন। এছাড়াও ব্যপক আলোচিত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তাদের সখ্যতা বহু দিনের। ফলে এরা বরাবরই রয়ে যাচ্ছে ধরা ছুয়াঁর বাইরে। মাদকে ছেয়ে গেছে ময়মনসিংহ। ইতি মধ্যে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপÍর ও র্যাব-১৪ বিপুল পরিমান মাদক জব্দ করেছেন। ডিসেম্বর/২০২৪ মাসেই অভিযানের চমক দেখিয়েছেন তারা। তারপরও বিভাগীয় শহরের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা ধরা পড়ছেনা!
ময়মনসিংহ জেলা শহরে দফায় দফায় বিভিন্ন কর্মস্থরে বদলী হয়ে কর্মরত কতিপয় পুলিশের রয়েছে মাদক ব্যবসায়ীদের চরম সখ্যতা। সুত্র জানায়, শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা এসকল পুলিশ অফিসারদের বিভিন্ন ভাবে পোস্টিং করিয়ে আনেন। ফলে পুলিশ কিংবা বিভিন্ন সংস্থার খবর মাদক ব্যবসায়ীরা আগাম পেয়ে যায়। এ সকল পুলিশ অফিসারের সোর্স গুলোও কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী। ফলে ময়মনসিংহ জেলা শহরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদককে সহনীয় পর্যায়ে আনতে পারছেনা।
জানা গেছে, শহরের পুরোহিতপাড়া, কৃষ্টপুর, কেওয়াটখালী, চামড়া গুদাম, রামকৃষ্ণ মিশন রোড, চরপাড়া, মাসকান্দা, সানকিপাড়া, রেল ক্রসিং, সেনবাড়ি, সানকিপাড়া শেষ মোড়, গোহাইলকান্দি মীর বাড়ি, মালগুদাম, বাকৃবি শেষ মোড়, চরকালিবাড়ি, আবাসন পাটগুদাম, পাটগুদাম ব্রীজ মোড়,চায়না মোড়, কাঁচারিঘাট, টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড, শম্ভুগঞ্জ মধ্য ও পশ্চিম বাজার, সাহেবকাচারী, খাগডহরসহ শতাধিক স্পট মাদক কেনাবেচা ও সেবনের চিহ্নিত পয়েন্ট।
শহরের কেওয়াট খালীর ময়না, বুচির মাদক স্পটে বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লাইন ধরে মাদক বেচাকেনা হয়। কৃষ্টপুর ভৈরব রেল গেইট এলাকায় সুবর্ণা, রুমা, জহিরুল, দেলু এবং কৃষ্ট পুরে সোর্স সিরাজ, পাপ্পু ও নুর ইসলামের বাসা এলাকায় সন্ধা থেকে ভোর রাত পর্যন্ত ধুমছে মাদক বিক্রি হয়। পুরোহিত পাড়ায় খ্যাতিমান মাদক ব্যবসায়ীর মাদক ব্যবসা চলছে। ঘুন্টি সিএনবি মাঠ পাড়ে মাদকের জন্য ভীড় জমে যায়। পাট গুদাম নদীর পাড়ে প্রয়াত হারুন কমিশনারের বাসার পাশে মদ, গাজা, ইয়াবা বিক্রী করে চিহ্নীক কয়েক জন মাদক ব্যবসায়ী। এ সকল মাদক ব্যবসায়ীদের নামে হাফ ডজন থেকে ডজন খানি মামলা রয়েছে। যে সকল গন মাধ্যম কর্মীরা এ সকল সংবাদ প্রকাশ করেন কতিপয় দূর্নীবাজ ব্যক্তিরা তাদের নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে সামালোচনা করেন।
স্থানীর জনগন মনে করেন মাদকের ভয়াবহতা প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরো তৎপর হতে হবে।