লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নে আগুন পরিদর্শনে ( ইউএনও)

কামরুল ইসলাম;

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন লোহাগাড়ার দক্ষিণ সুখছড়ি খালেকীয়া দরবার শরীফ ষ্টেশনে অগ্নিকান্ডে ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

১৫ জানুয়ারি (বুধবার) ভোর আনুমানিক পৌণে ৫টায় এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিকেরা হলেন যথাক্রমে মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মিনহাজ উদ্দীন, মো. তৈয়ব, তৌহিদুল আজিম, জাফর আহমদ, মো. আনোয়ার, মো. সেলিম, আবদুল আহাদ, রুহিদুল ইসলাম, সজল শীল, সুনীল দাশ, আবদুল হাফেজ, মাস্টার নুরুচ্ছফা, মো. রেজাউল করিম, আবু তাহের, ধন কান্তি দাশ ও মো. কুতুব উদ্দীন প্রমুখ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোর আনুমানিক পৌণে ৫টায় তাঁরা অগ্নিদগ্ধ মার্কেটের একটি জায়গা থেকে দাউ-দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখেছেন স্থানিওরা। জনগণের শোর-চিৎকারে চতুর্দিক থেকে লোকজন এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালানোর পরও সহজে আগুন নিয়স্ত্রণে আনতে পারেননি। পরে তারা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন সদস্যরা আনুমানিক ৬ টার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়স্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান। ততোক্ষণে ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসীন্দা শাহেদ হোসাইন জানান, তিনি ফজরের নামাজের পূর্বেই মার্কেটে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত দেখতে পান। নিমিষের মধ্যে আগুন দাউ-দাউ করে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে তারা বহুবার ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের সহিত মুঠো ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এরমধ্যে স্থানীয়রা প্রাণপণ চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেননি। যে কারণে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে উল্লেখিত ১৭ জনের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের লোকজন উপস্থিত হয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী আনোয়ার টেলিকম এর মালিক মোহাম্মদ আনোয়ার জানান, তিনি নিত্যদিনের মতো রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে চলে যান। ভোরে অগ্নিকান্ডের খবর শুনে ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই তার দোকান পুড়ে যায়। এতে তার নগদ টাকাসহ প্রায় ২ থেকে আড়াই লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন বলে জানান।

এ প্রসঙ্গে লোহাগাড়া ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন অফিসার রুবেল আলম জানান, তারা ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে ৯৯৯ এর মাধ্যমে অগ্নিকান্ডের ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন। ঘটনার জানার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ ভোর ৬ টা ৭ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। জনগণের ক্ষোভের মাঝে পড়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাতে থাকেন। পরে তাঁদের সার্বিক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করেছেন বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটেছে। তবে, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি। তদন্তের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *