পুঠিয়ায় আওয়ামীলীগ থেকে আসা বিএনপির বাপ বনে যাওয়া আতংকের নাম মামুন!

আনোয়ারুল হকঃ

 

পুঠিয়ায় আওয়ামীলীগ থেকে আসা সাবেক পৌর মেয়র আল মামুন খান রাতারাতি স্বঘোষিত পুঠিয়া বিএনপির বাপ বনে গেছেন। তার বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনও ব্যাক্তি প্রতিবাদ করলে তার জীবন মৃত্যুর হুমকিতে পড়ে যায় বিধায় আল মামুন খানের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। এমনকি সাংবাদিক মহলেও আছে তাকে নিয়ে ঢেড় আতংক। এমতাবস্থায় সে বেপরোয়া হয়ে উঠছে তার লুটপাট, দূর্ণীতি ও অনিয়ম কর্মকাণ্ডে।

আওয়ামীলীগের আমলের ঠিকাদার আওয়ামীলীগের দোসর তার চাচাতো ভাই লালন খানকে আল মামুন এর সহযোগিতায় পুঠিয়ার বিভিন্ন পাকা রাস্তা নির্মাণের টেন্ডার নিয়ে দেওয়া হয়। এবং সে টেন্ডারের রাস্তাগুলো অত্যন্ত নিম্নমানের হওয়ায় দুই থেকে তিন মাসেই নষ্ট হয়ে যাওয়ায় সম্প্রতি এ নিয়ে নিউজ করাতে আল মামুন খান সাংবাদিকদের উপর অত্যন্ত ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন।

এছাড়াও ইদানীং আল মামুন খান সরকারি জলমহাল দখল করা নিয়ে নতুন খেলায় মেতেছেন। তিনি পুঠিয়া জলমহাল কমিটির সদস্য হওয়ায় আটটি মৎস্যজিবী সমিতিকে ভিম্মি করে তাদের নিকট থেকে কাগজপত্র নিয়ে নিয়েছেন।

পুঠিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সুবল দাস বলেন, আমাদের সমিতির যে কাগজগুলো ছিল সম্পূর্ণ সাবেক মেয়র মামুন নিয়ে নিয়েছে। এবং কোন মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতিকে অনলাইনে আবেদন করতে দেওয়া হয় নাই। তাদের নামের ওপরে মামুন বাহিনীর ক্যাডাররা অনলাইনে আবেদন করেছেন। অনুসন্ধান টিম এর কাছে সুবল দাস বলেন, নামে আমরা কামে লিডাররা। আমাদেরকে একটিও আবেদন করার সুযোগ দেয় নাই। সম্পূর্ণ জবর দখল করে নিয়েছে এবং হুমকি স্বরূপ ভয়-ভীতি দেখিয়েছে।
সমিতির বাকি সদস্যদের নাম গোপন রাখা হয়েছে। অনুসন্ধানে উঠে আসে আল মামুন খান পুকুরগুলো দুই অংশে ভাগ করেছেন। এক অংশ বিক্রি করে দিয়েছেন। অন্য অংশ তার বাহিনী দিয়ে পরিচালনা করাবেন। এর মধ্যে বড় বড় দিঘীগুলো বড় ইজারাদারদের নিকট বিক্রি করে দেওয়া হবে।
ছোট পুকুরগুলো তার বাহিনীকে দিয়ে তদারকি করাবেন।

পুঠিয়া উপজেলা সরকারি ২১ টি পুকুরের ইজারা দেওয়ার জন্য সিডিউল তৈরি করা হয় ২৬/১/২৫ইং রোজ রবিবার। পুঠিয়া উপজেলা মৎস্য সমিতির সকল সভাপতি এর নিকট হইতে জোরপূর্বক জিম্মি করে হিন্দু সংখ্যালঘু মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের নিকট হইতে সর্বমোট আটটা সমিতির কাগজ পত্র কেড়ে নিয়েছেন খান মামুন ও দীপ বাহিনীর কেডাররা। ২৮/১/২৫ ইং রোজ মঙ্গলবার পুঠিয়া উপজেলা থেকে ইজারা নিবেন মামুন বাহিনী। অনুসন্ধানে উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। মামুন খান, বিএনপি হয়ে আওয়ামী লীগের দোসরদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন রাতের আঁধারে। অনেক সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তা গোপনীয়তা রক্ষা করে মামুন খানের ভয়ে অনেক দুর্নীতি করে যাচ্ছেন।
কেহ মুখ খুললে তার কপালে জুটছে মামলা নয়তো রামদা এর আঘাত। সেই জন্য তথ্য কারীর নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

পুঠিয়া উপজেলার এক ভয়ংকর নাম খান মামুন! গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য কালেকশন করেছে অনুসন্ধান টিম। পুঠিয়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নের অন্যতম নেতা ছিলেন নুরুল হক এবং পুঠিয়া বিএনপির শ্রমিকের একজন প্রতিষ্ঠিত নেতা ছিলেন তিনি। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। নুরুল হত্যার আসামি আওয়ামীলীগের সাবেক রাজশাহী জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হক মাসুদ রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। তার সাথে বিভিন্ন ব্যাবসায় জড়িত রয়েছেন এই খান মামুন। মাছের আড়তদারি ব্যাবসায় একসঙ্গে পার্টনারশিপে এই হত্যাকারী মাসুদের সঙ্গে রয়েছেন খান মামুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *