চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানাধীন আবাসিক হোটেল সাউদিয়াতে চলছে অসামাজিক কার্যকালাপ

স্টাফ রিপোর্টার:

চট্টগ্রাম মহানগরের কোতোয়ালী থানাধীন লালদিঘী কেসিদে রোডস্থ হোটেল সাউদিয়া নামে আবাসিক হোটেলটিতে দীর্ঘদিন যাবদ চলছে অসামাজিক কার্যকলাপ। এ যেন দেখার কেউ নেই ।

বিভিন্ন সময় কোতোয়ালী থানার আবাসিক হোটেল সাউদিয়া থেকে ৪০ থেকে জন পতিতা ও খদ্দরকে আটক করে নিয়ে যায়, আদালত থেকে জামিনে বেড়িয়ে এসে আবারো শুরম্ন করে পতিতা বানিজ্য। আবাসিক হোটেল সাউদিয়ার ম্যানেজার সোহেল অবৈধ ব্যবসা করে কামিয়েছেন লাখ লাখ টাকা । আবাসিক হোটেল সাউদিয়া মাদকসেবীদের আড্ডা খানায় পরিনত হয়েছে ।

এ বিষয় হোটেল মালিক বাপ্পি ও ম্যানেজার সোহেলের সাথে কথা বললে  ম্যানেজার সোহেল বলেন আমরা দীর্ঘদিন যাবদ ব্যাবসা করি আমার সাথে কারো কোনে দ্বন্দ্ব হয় না কারণ আমি সবকিছু ম্যানেজ করে চলি। সোহেল আরো বলেন  সম্প্রীতি কোতোয়ালী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৮ জন তরুন তরুনিকে আটক করে নিয়ে যায় ।

যার মধ্যে ৪ জন পতিতা ও ৪ জন খদ্দর । আপনারা সাংবাদিকরা শুধু মাত্র আমাদের হোটেল টিকেই দেখেন। অথচ আমার পাশে বড় আকারে ব্যাবসা করছে অনেক আবাসিক হোটেল যা আপনাদের চোখে পড়ছে না। সোহেল বলেন আমরা যে ব্যবসা করি তা প্রসাশনের সবারই জানা, শুধু প্রসশান নয় এলাকার গন্যমান্য রাজনৈতিক ব্যাক্তিরাও আমাদের সাথে আছে।  লারদিঘীর পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন এইসব আবাসিক হোটেলে পতিতা বানিজ্যর কারনে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বসবাস করা দুস্কার হয়ে দাড়িয়েছে। মানইজ্জত নিয়ে বসবাস করা কঠিন ।

থানা পুলিশকে বলে লাভ নেই, পুলিম এক দিকে দু-চার জনকে দরে নিয়ে যায় অপরদিকে পুলিশ যাওয়ার সাথে সাথে অবৈধ ব্যাবসা শুরু করে । পুলিশকে জানালে পুলিশ বলে কিছুক্ষন আগে দরে নিয়ে আসলাম আবার কি যাওয়া সম্ভব । আমাদের কি অন্য কোনো কাজ নাই। এ বিষয় জানার জন্য কোতোয়ালীর থানার ওসির সাখে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাকে। এলাকাবাসীর দাবি অচিরেই বন্ধ করতে  হবে আবাসিক হোটেল সাউদিয়ার  অসামাজিক কার্যকলাপ। শান্তিতে বসবাস করতে পারবে স্থানীয় মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *