মোঃ আব্দুল মজিদ নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
২০০৯ সালে আলোচিত পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর কারাগার ভোগের পর ২০১৬ সালে জামিন পেয়ে বাড়ি যান সাবেক বিডিআর সদস্য মো. হাবিবুর রহমান। পরিবারের সবাই খুশি হলেও কিছুদিন পর থেকে অর্থের অভাবে পরিবারের খরচ জোগাতে দিশাহারা হয়ে পড়েন। নেই খাবারের কিংবা অসুখের চিকিৎসার নিশ্চয়তা। অভাবের তাড়নায় কোনো কিছুর উপায় না পেয়ে বর্তমানে প্রতিদিন একটি বাজারে খোলা আকাশের নিচে চিতই পিঠা বিক্রি করে সংসার চালান তিনি। শেষ বয়সে পেনশনের দাবি তার।
সাবেক বিডিআর সদস্য মো. হাবিবুর রহমান নওগাঁর মান্দা উপজেলার কশব ইউনিয়নের চকসিদ্বেশ্বরী গ্রামের বাসিন্দা। পরিবারে তার এক ছেলে, দুই মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন। তিনি মৃত-হাছেন আলীর ছেলে। ১৯৭৮ সালের অক্টোবরে বিডিআর সদস্য হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন এবং তিনি ল্যান্স নায়েক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন।
জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ওই ঘটনায় বিস্ফোরক ও নাশকতায় মামলার আসামি করে সেদিন দুপুর ১২টার দিকে পিলখানার ভেতর থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। তারপর কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। দীর্ঘ সাড়ে ৬ বছর কারাভোগের পর ২০১৬ সালের আগস্টে খালাস পেয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে যান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মান্দা উপজেলার কশব ইউনিয়নের পাঁজরভাঙ্গা হাটে চৌরাস্তা মোড়ে খোলা আকাশের নিচে সকাল সকাল চিতই পিঠা বিক্রি করেছেন সাবেক বিডিআর সদস্য ল্যান্স নায়েক হাবিবুর রহমান। চোখে মুখে যেন তার একরাশ হতাশা। সেখানে বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ পিঠা খেতে আসছেন। অন্যদিকে তার বসায় গিয়ে দেখা যায়, ঘরের ওয়ালে টাঙানো আছে যুবক বয়সে বিডিআর ইউনিফর্ম পরা ছবি