কিশোর গ্যাং মামলার আসামি থেকে হয়ে উঠেছে মাদক সম্রাট

স্টাফ রিপোর্টার:

 

মাহফুজুর রহমান বৃত্ত, ব্যাংক কর্মকর্তা আতাউর রহমানের ছেলে। সে পুঠিয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা। এই বৃত্ত কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত। তার নামে একাধিক মামলাও রয়েছে। ২০১৯ সালের অক্টোবরে সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতারও হয়েছে। জামিনে মুক্তি পেয়ে হয়ে উঠে টাপেন্টা মাদক সম্রাট। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থার ভাষ্য মতে, তার নিজ বাসায় দুইবার অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে কোন প্রকার মাদক পাওয়া যায়নি। কিন্তু এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বলছেন, পুঠিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিক্রয় করার জন্য তার নিয়োগকৃত লোকজন রয়েছে। এর সত্যতা যাচাই করতে মাঠ পর্যায়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়, গন্ডগোহালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী রানা, মাহফুজুর রহমান বৃত্তর অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে এই মাদক ব্যবসায়ী রানা মাদক বিক্রি করে থাকে। শুধু তাই নয়, বাবা নামে কলঙ্কিত এই মাদক বিক্রেতা রানা, তার সন্তান রাসেলকে দিয়ে দিনে-দুপুরে খোলামেলা মাদক বিক্রয় করিয়ে থাকে।

গোপন অনুসন্ধানে অনুসন্ধানী টিমের নিকট মাদক ব্যবসায়ী রানা বলে, টাপেন্টা ট্যাবলেট সে মাহফুজুর রহমান বৃত্ত এর নিকট থেকে পেয়ে থাকে। বলে রাখা ভালো যে, মাদক ব্যবসায়ী রানা একাধিক মাদক মামলার আসামি এবং মাদকসম্রাট রানার স্ত্রীও মাদক মামলার আসামি। রানা কখনো বাসায় থাকে না। তার ছেলে রাসেলকে দিয়ে মাদক ব্যবসা করাচ্ছে। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ইউপি সদস্য শাহাবুল, সামিউল, আজিবর ও বাবলু শেখ এর প্রতিবাদ করলে মাদক সম্রাট রানা তা কর্ণপাত করে না।

মাদক টাপেন্টা ট্যাবলেটের গডফাদার মাহফুজুর রহমান বৃত্ত, বিগত স্বৈরশাসক আওয়ামী সরকারের আমলে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল। এলাকায় সে কিশোর গ্যাং লিডার হিসেবে পরিচিত। তার নারীঘটিত মামলাও রয়েছে।

গোপন সুত্রে জানা যায়, তার গড়ে তোলা মাদক সিন্ডিকেটের বিভিন্ন মহিলাদেরকে দিয়ে সমাজের সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তানদের সাথে অসামাজিক কার্যকলাপ করে থাকে এবং এই অসামাজিক কার্যকলাপের প্রমাণ আয়ত্ত করে থাকে। পরবর্তীতে ঐ অসামাজিক কার্যকলাপের প্রমাণ দেখিয়ে এসব কোমলমতি ভদ্র পরিবারের সন্তানদের জিম্মি করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকে এবং তা এখনও চলমান। অথচ এই কুখ্যাত অপরাধী তার নিজের পরিচয় দিতে গিয়ে লোকসমাজে বলে যে, “আমি বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ি”। কিন্তু এ কুখ্যাত অপরাধী নিজে কোনদিন বরিশাল কলেজে যায়নি। সর্বত্র সে ভুঁয়া ছাত্র পরিচয় দিয়ে থাকে। সে এই সুবিধাজনক ভুঁয়া ছাত্র পরিচয়ের আড়ালে রমরমা মাদকের ব্যবসা চালিয়ে যায়। সমাজের অবাঞ্চিত বিভিন্ন কাঙ্গাল বখাটেদের দিয়ে এই মাদক ব্যবসা করে থাকে এই কুখ্যাত অপরাধী। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে যে, তাকে তার প্রতিবেশী কোনও এক ব্যাক্তি ঢাকা থেকে এই সকল মাদক সরবরাহ করে।

স্বৈরশাসক আওয়ামী সরকার পতনের পর এই কুখ্যাত অপরাধী বৃত্ত নিজেকে আড়াল করে ফেলে। মাহফুজুর রহমান বৃত্ত পর্দার আড়ালে থেকে চালিয়ে যায় তার রমরমা মাদক ব্যবসা।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অফিসার সাইদুর রহমান বলেন, আমাদের কাছে অনেক তথ্য রয়েছে, আমরা তাকে নজরদারিতে রেখেছি। যে কোন মুহূর্তে তাকে গ্রেফতার করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *