জহিরুল ইসলাম বাবলু:
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান দায়িত্ব হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। বিএনপি জনগণের দল, আমরা জনগণের রায়ের ভিত্তিতে সরকার পরিচালনা করতে চাই। জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করে ৩১ দফার আলোকে কাঠামোগত সংস্কার বাস্তবায়ন করা হবে। তবে, আমরা লক্ষ্য করছি যে, বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণের অপচেষ্টা চলছে। যদি নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত না করা হয়, তবে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, অর্থনীতি ও জনগণের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা ফ্যাসিবাদী শাসন ব্যবস্থার স্থায়ী রূপ দেওয়ার কৌশল মাত্র। জনগণ দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। এখন সময় এসেছে, জনগণ তাদের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ফিরে পাবে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৩১ দফা কর্মশালা ও প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় নগরের এম এস জে কলেজ অডিটোরিয়ামে ১৮ নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুলা আল সগীর। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং প্রধান বক্তা ছিলেন নগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শামসুল আলম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আজম খাজা, শিহাব উদ্দিন মোবিন, মহানগর বিএনপির সদস্য অধ্যাপক নুরুল আলম রাজু, জাফর আহমদ, নগর বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ তৈয়ব।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শাহাজাহান, আলমগীর নূর, আলী ইউসুফ, মোহাম্মদ আলমগীর, মোহাম্মদ ইলিয়াস ও মোহাম্মদ আমিন।
কর্মসূচিটি সঞ্চালনা করেন ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ মহিউদ্দিন।
কর্মশালায় বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নের কৌশল, জনগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং সাংগঠনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে হবে। স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশে গণতন্ত্র, সুশাসন ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।