চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ-ভাঙচুর-বোমা বিস্ফোরণ

মোঃ মাহমুদুল হাসান:

 

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সমাবেশে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া,ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটায় এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষ দিয়েছেন। আর ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়টিকে পুলিশ বলছে,তা ছিল পটকা। যদিও ঘটনাস্থলে আলামত ককটেলের বলেই মনে করছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর পৌর পার্কে এই ঘটনা ঘটে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আশরাফুল হককে বক্তব্য দিতে না দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানায়,সমাবেশে আশরাফুল হককে বক্তব্য দিতে দাবি জানায় তার অনুসারীরা। কিন্তু না দিলে মঞ্চ ও সভাস্থলে বাকবিতণ্ডার জেরে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে শাহিন শওকত গ্রুপ ও আশরাফুল হক গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় চেয়ার ছোড়াছুড়ি ও ভাঙচুর করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। এতে সভা পণ্ড হয়। এসময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পরে সমাবেশের প্রধান অতিথি বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সামরিক সচিব শরীফ উদ্দিনের হস্তক্ষেপে পুনরায় সভার কার্যক্রম শুরু হয়।

বিএনপি নেতা অ্যাড. সৈয়দ শাহিন শওকত বক্তব্য দেয়া শুরু করলে সমাবেশ স্থলের পাশের সড়কে দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাকে তীব্র নিন্দা জানান।

আশরাফুল হক বলেন,রাজশাহী বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম (চাইনিজ রফিক) সমাবেশে আমাকে বক্তব্য দিতে দেয়নি। এর প্রতিবাদ জানায় দলের নেতাকর্মীরা। এর জেরে আমার কয়েকজন লোককে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় তার অনুসারী রেজয়ানসহ তিনজন আহত হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

তিনি দাবি করেন,এমন হামলার ঘটনায় আমরা সমাবেশ স্থল ত্যাগ করলেও এনিয়ে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাননি উপস্থিত জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। পরে তাঁরা নিজেরাই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেন।

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. সৈয়দ শাহিন শওকত জানান,বক্তব্য দিতে না দেওয়ার কারণে এমন ঘটনা ঘটেনি। বরং তিনি আওয়ামী লীগ ও তাঁর অনুসারী সন্ত্রাসীদের নিয়ে জাতীয় একটি সমাবেশকে বানচাল করতে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং ককটেল হামলা চালিয়েছে।

তাঁর দাবি আশরাফ একজন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী। তাঁকে একদফা বিএনপি থেকে বহিষ্কারের পর আবারও দলে নেওয়া হয়েছে । আর তাঁরা যে কমিটি করছে তা দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক নয়। তাছাড়া তাঁর থেকে দলের অনেক সিনিয়র নেতা থাকায় সময় সংক্ষেপের কারণে তাঁকে বক্তব্য দেয়ার সুযোগ দেয়নি আয়োজকরা।

এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ রইস উদ্দিন বলেন,ককটেল বিস্ফোরণে যে কথা বলা হচ্ছে তা আসলে পটকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *