মিজান মংলাঃ
আজ বিকেল ৩ টার সময় মংলায় মানবাধিকার সংস্থা বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটার্স এন্ড প্রেস সোসাইটি এর পক্ষ থেকে মংলা থানা কমিটির উদ্যোগে একটি মানববন্ধন পরিচালনা করা হয় ।
মংলা থানা কমিটির মহিলা সদস্য এলাচি বেগম এবং তার বোন নাম সাবিনা বেগম, তার কন্যা সুমি আক্তার গ তার ছোট ভাই রাজু হাওলাদার সকল মিলে তার বাবার বাড়ির একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করতে গত ২২/২/২০২৫ তারিখ রোজ শনিবার অনুষ্ঠানে যায়। অনুষ্ঠান শেষে আসার পথে আনুমানিক সময় রাত ৮. ৩০ মিনিট রওনা দেয় আর তার বাবার বাড়ি হতে কিছুটা দূরে এসে শরণখোলা থানা দিন তাপালবাড়িয়া বাজার লগ্ন একটি স্থানে জাফর হাওলাদারের ছেলে, নুরুল হক কন্টাকটারের ছেলে রাব্বি সহ ১০ থেকে ১২ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাদের গাড়ি রোধ করে জিম্মি করে কাছে থাকা ফোন,স্বর্ণ, অলংকার এবং টাকা লুট করে নেয় ও ব্যপক মারধর করে, শীলতাহানি করে। পরে পাশের একটি ভবন স্কুলের সেখানে নিয়ে তাদের শারীরিক নির্যাতন চেষ্টা চালায় ।
তাদের চিৎকারে পাশের লোকজন এসে এবং তার আত্মীয় স্বজনরা শুনতে পেয়ে ঘটনাস্থানে এসে ভিকটিম এলাচি বেগমের ভাই এগিয়ে আসলে তার মাথায় কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করেন । পরে সন্ত্রাসীরা ছিনিয়ে নেওয়া মালামাল সাথে থাকা স্বর্ণ অলংকার সহ দুইটি মোবাইল ফোন পালিয়ে যায় এবং পালিয়ে যাওয়ার আগেই মুহূর্তেই তাদের চেহারা দেখে চিনতে পারেন উপস্থিত গন।
পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের নাম জানা যায় মোঃ দুলাল হাওলাদার পিতা জাফর হাওলাদার, মিজান হাওলাদার, পিতা নুরুল হক কন্টেকটার, রাব্বি পিতা অজ্ঞাত ও আরো অনেক সন্ত্রাসীরা তাদের দলবদ্ধভাবে ছিলেন যাদের নাম এবং চিহ্নিত করা যায়নি । তাদের একটি বড় দল ডাকাতি দলের চক্র বলেই পরে জানা যায়। এ বিষয় ভুক্তভোগীরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলেও ঘটনা স্থলে আসেনি পুলিশ।
ক্যাম্প থেকে দুজন পুলিশ আসলেও কোনো ব্যবস্থা নেননি। ভুক্তভোগীরা সন্ত্রাসীদের ভয়ে স্বরণখোলা থানায় না যেয়ে আদালতে মামলা করেছেন। ৫ ই আগস্টের পর আওয়ামী গুন্ডা পান্ডারা দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন রকম অপরাধ কর্মকান্ড চালাচ্ছে। আওয়ামী দোসররা নিজেদের অপরাধ লুকানোর জন্য কৌশলে বিএনপির নাম ব্যবহার করছেন।
অপরাধিরা যাতে কোনো রকম পাড় না পায় তার জন্য মংলা জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্ট্রি আকর্ষন করছেন ভুক্তোভোগীরা। এ বিষয় ঢাকায় আগামি শনিবার আওয়ামী দোসর একটি দোসর দুলাল, মিজান, রাব্বি গংদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন হবে।