স্টাফ রিপোর্টার:
বিগত ১৬ বছর যাবদ অত্যাচার, নির্যাতন, গুম ও খুনের মাধ্যমে দেশের মানুষকে নির্যাতন করে দেশ শাসন করেছে হাসিনা সরকার। জামায়াত-বিএনপি নেতাদের গুম ও খুনের ভয় দেখিয়ে রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করেছেন।
কিন্তু প্রকৃত রাজনীতিবিদ জামায়াত-বিএনপির একজন নেতাকেও খেকে দুরে রাখতে পারেন নি। বিএনপির এমনও অনেক নেতা আছেন যাদের বিরুদ্ধে ২০০ থেকে ৩০০ মামলা । তারপরও তারা কেউই বিএনপি ছাড়ে নাই। অথচ কতিপয় অসাধু বিএনপি নেতা টাকার বিনিময় বিক্রি হয়েছেন।
এর মধ্যে অন্যতম নারায়নগঞ্জ থানার ২০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহেন শাহা। তিনি বিএনপি ছেড়ে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে একাধিক বিএনপি কর্মীদের নির্যাতন করেছেন। বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রসিদ ও সাধারন সম্পাদক মৃত কাজীম উদ্দিন এবং তৎকালীন বন্দর থানা ওসিকে ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়ে ছিলেন এই শাহেন শাহা।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র জনতার আন্দলনে বিএনপি-জামায়েতের কর্মীতে গ্রেপ্তারে আওয়ামীলীগকে সহযোগীতা করেছেন নব্য আওয়ামী দোসর শাহেন শাহা। ৫ই আগস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর রাতা রাতি ভোল পালটিয়ে হয়েছেন বিএনপি নেতা । লুটপাট করেছেন কর্ণফুলী ডকইয়ার্ড ও এলাকার বিভিন্ন স্থান। এ বিষয় ব্যাপক আন্দলোন হয়েছে।
অথচ কৌশলী ধান্দাবাজ শাহেন শাহা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা কর্মী দু:খ প্রকাশ করে বলেন ১৬ বছর যাবদ আওয়ামী দোসরদের অত্যাচার নির্যাতন সয্য করে করেছি। কোনোদিন দল ছাড়ার চিন্তাও করি নাই।
অথচ আওয়ামীর দালাল এখন বিএনপির নেতা পরিচয়ে চাদাবাজি করছে। জানা যায় শাহেন শাহা নারায়ণগঞ্জ জেলার ২০ নং ওয়ার্ডে জমি দখল করতে একাধিক হত্যা করেছে। সুত্রে জানা যায় তার নামে একাধিক হত্যা মামলাও রয়েছে।