মিজান:
শরণখোলায় গত ২২/০২/২০২৫ ইং শনিবার একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির মংলা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা এলাচি বেগম, তার মেয়ে এবং আত্মীয় স্বজন। শরনখোলা থানা এলাকায় এলাচি বেগম তার বাবার বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় তাফালবাড়ি এলাকায় তাদের গাড়ি ব্যাড়িক্যাট দিয়ে থামায় শরণখোলা উপজেলার ডাকাত সরদার দুলাল, মিজান ও রাব্বি বাহিনী। জোরপূর্বক গাড়ি থেকে এলাচি বেগম ও তার মেয়ে এবং আত¥ীয়স্বজনকে নামিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে, তাদের সাথে থাকা মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।
এর পর ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে এলাচি বেগম ও তার মেয়েকে পাশের একটি স্কুল ঘড়ে আটকে রেখে শারিরিক নির্যাতন চালায়। সুযোগ পেয়ে এলাচি বেগম বাথরম্নম এ গিয়ে তার কাছে থাকা বাটন ফোন দিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে দুজন পুলিশ আসে। এলাচি বেগম ও তার মেয়ের চিৎকারে এগিয়ে আসে এলাকাবাসী। সাথে সাথে খবর চলে যায় এলাচি বেগমের ভাই মানিকের কাছে। মানিক দু্রুত ঘটনা স্থলে আসলে সন্ত্রাসী দুলাল মানিকের মাথায় দ্যা দিয়ে কোপ দিয়ে রক্তাক্ত করে। এ সময় দুজন পুলিশ ও এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে ডাকাত দলের সন্ত্রাসীরা হুমকি দিয়ে যায় যে এ বিষয় থানায় গেলে তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে ।
এলাচি বেগম ও তার পরিবার স্থানীয় জনগন ও দুজন পুলিশের সহায়তায় কোনোরকম তার স্বামীর বাড়ি মংলা ফেরত আসে। পরের দিন বিভিন্ন লোক মারফত সন্ত্রাসী দুলাল, মিজান ও রাব্বি গংরা হুমকি দেয় যে তাদের বিরম্নদ্ধে মামলা করতে থানায় গেলে তাদেরকে আর বাড়ি ফিরতে দেয়া হবে না। কারণ থানার আসে পাশে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী অবস্থান করছে। থানায় যাওয়ার আগেই তাদেরকে শেষ করে দেয়া হবে। যার কারণে শরণখোলা থানায় না গিয়ে বাঘেরহাট আদালতে গিয়ে মামলা করে এলাচি বেগম। আদালত এই মামলা পিবিআইকে তদন্তর নির্দেশ দেন।
মামলা হয়েছে যেনে জাফর হাওলাদারের ছেলে সন্ত্রাসী দুলাল, নুরুল হক কন্টাক্টরের ছেলে মিজান ও রাব্বি বাহিনী এলাচি বেগম ও তার ভাই মানিককে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি শরণখোলা থানার ওসিকে জানালে তিনি বলেন এ বিষয়টি আমার জানা নেই তাছাড়া আমার থানায় কেউ অভিযোগ নিয়েও আসে নাই। অভিযোগ নিয়ে আসলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম, তবে আমি শুনেছি এ বিষয় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। শরনখোলা থানার ওসি আরো বলেন আমার থানার এলাকায় কোনো সন্ত্রাসী, চাদাবাজ ও ডাকাত থাকতে পারবে না।
আমি জনগনকে সাথে নিয়ে এদের নির্মুল করবো। সূত্রে জানা যায় সন্ত্রাসী দুলাল, মিজান ও রাব্বি বাহিনী বিগত দিনে আওয়ামী দোসর ছিল বর্তমানে ভোল পালটিয়ে বিএনপির নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় ডাকাতি, চাদাবাজি ও দখলবাজি করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিএনপি নেতা বলেন আওয়ামী দোসর সন্ত্রাসী দুলাল, মিজান ও রাব্বি বাহিনীর কোনো জায়গা নেই বিএনপিতে। যদি কোনো নেতা জায়গা দিতে চায় তাহলে তার বিরম্নদ্ধে ব্যবস্থা নিবে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন জনাব তারেক রহমান। এলাকাবাসীর দাবি যেকোনো ভাবেই হোক শরণখোলা উপজেলাকে দখলবাজ, চাদাবাজ, মাদক ও সন্ত্রাস মুক্ত করতে হবে।