সাবেক ডিজির স্বাক্ষর জ্বাল করে ভুয়া জিও তৈরি করে, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আওয়ামী দোসর সাইদুল আলম চৌধুরীর অস্ট্রিয়া গমন

স্টাফ রিপোর্টার: 

 

আওয়ামী লীগের দোষর সাইদুল আলম চৌধুরী ২০২০ সাল হইতে ২০২২ সাল পর্যন্ত অধিদপ্তরের প্যাকেজ সেলে কর্মরত ছিলেন। এই সময় তিনি কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। বিষয়টি সাবেক মহাপরিচালক মহোদয় জানতে পেরে প্যাকেজ সেল থেকে তাকে পলাশীব্যারাক ফায়ার স্টেশনে বদলি করেন। রাগে এবং ক্ষোভে তৎকালীন মহাপরিচালক মহোদয়ের স্বাক্ষর এবং স্মারক জাল করে ভুয়া জিও তৈরি করেন। অত্যন্ত ধূর্ত এবং সুচতুর সাইদুল আলম চৌধুরী সেই ভুয়া জিও দিয়ে অস্ট্রিয়া গমন করেন। সাবেক মহাপরিচালক মহোদয়ের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে বিদেশ গমনের বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসে ব্যাপক সমালোচিত হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে সাইদুর আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে উপ পরিচালক সালেউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি এবং আনোয়ারুল হক কে সদস্য সচিব করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি প্রাথমিক তদন্তে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে তাকে পলাশীব্যারাক ফায়ার স্টেশন হইতে বরিশাল দক্ষিণ ফায়ার স্টেশনে বদলি করা হয়। কিন্তু অত্যন্ত ধূর্ত সাইদুল আলম চৌধুরী মোটা অংকের টাকার বিনিময় তদন্ত রিপোর্ট চাপা রেখে উপ সহকারী পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়ে উপসহকারী পরিচালক হিসেবে বাগেরহাটে বদলি হন। দুর্নীতিবাজ ঘুষখোর এবং সাজাপ্রাপ্ত সাইদুল আলম চৌধুরী পদোন্নতি পেলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের একাধিক কর্মকর্তা জানান যে,, এডমিন শাখার ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার ইশারায় তিনি অসম্ভবকে সম্ভব করতে পেরেছেন। (দুর্নীতিবাজ সাইদুল আলম চৌধুরীর নিজ হাতে জিও তৈরি করা এবং শাস্তি হিসেবে বিভাগীয় মামলার কপি সংযুক্ত করা হলো)

ফায়ার সার্ভিসে সবই সম্ভব। তাইতো এতসবের পরেও দুর্নীতিবাজ সাইদুর আলম চৌধুরী কার ইশারায় আবার ঢাকায়। শুধু ঢাকা? ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট পিও কাম এডজুটেন্ট ট্রেনিং কমপ্লেক্সে প্রদান করা হয়।দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগের দোসর সাইদুল আলম চৌধুরী পিও কাম এ্যডজুডেন্ট পদে ট্রেনিং কমপ্লেক্স যোগদান করার পর বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তার নামে কোন গাড়ি বরাদ্দ না থাকলেও তিনি ইচ্ছেমতো একটি গাড়ি ব্যবহার করছেন। প্রতিদিন তাকে লালবাগ হইতে মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আনা নেওয়া হয়। অধ্যক্ষ,উপাধ্যক্ষ কাউকে তোয়াক্কা না করে ব্যক্তিগত রানার ব্যবহার করছেন এবং গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়া আসা করছেন। তিনি তার ইচ্ছামতো হসপিটালের মালামাল সরিয়ে ভবনের একটি রুম ব্যবহার করছেন। ট্রেনিং কমপ্লেক্সের ক্যানটিনের আয়ের টাকা আত¥সাৎ করেছেন।

বর্তমান মহাপরিচালক মহোদয়ের তিনি নিকট আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সকলকে হুমকি ধামকির মধ্যে রেখেছেন। এ বিষয়ে ট্রেনিং কমপ্লেক্সের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,, সাইদুল আলম চৌধুরী একজন বেয়াদব এবং দুর্নীতিবাজ। এই কর্মকর্তা ট্রেনিং সেন্টারে এসে দুর্নীতি এবং কিভাবে জালিয়াতি করতে হয় তা ছাড়া কিছুই শিক্ষা দিতে পারবে না। তাকে যদি অনতিবিলম্বে অন্যত্র বদলি করে শাস্তির আওতায় আনা না হয় তাহলে তার সঙ্গে জড়িত সকল কর্মকর্তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে মুখোশ উন্মোচন করা হবে।

কথা হলো এতসব দুর্নীতি করার পরও আওয়ামী দোসর সাইদুল আলম চৌধুরী কে সিনিয়র স্টেশন অফিসার হতে উপ-সহকারী পরিচালক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সাবেক ডিজি ব্যাপক দুর্নীতির জন্য বাগেরহাটে বদলি করেন । বর্তমানে অনেক টাকার বিনিময় বর্তমান প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মামলা হতে নিষ্পত্তি পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে এই আওয়ামী দোসর সাইদুল আলম চৌধুরী। এছাড়াও বাগেরহাট হতে ট্রেনিং কমপ্লেক্স মিরপুর ঢাকায় পোস্টিং দেয়া হয়েছে আওয়ামী দোসর সাইদুল আলম চৌধুরী কে। এই নিয়ে টেনিং কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা কর্মচারীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিষয়আওয়ামী লীগের দোষর সাইদুল আলম চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন এ বিষয় কোন কথা বলতে রাজি নই আমি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *