মোঃ ইসলাম উদ্দিন তালুকদার:
বর্তমানে নারী ও শিশুদের প্রতি নির্যাতন উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সরকারকে এটি কঠোর হাতে দমন করতে হবে। অন্যথায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মনে করছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক, সুনামগঞ্জ—৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন।
তিনি বলেন, নারী ও শিশুদের প্রতি নির্যাতন প্রতিরোধে বিএনপি দলীয়ভাবে প্রতিবাদ করেছে। আমিও ব্যক্তিগতভাবে প্রতিবাদ করে আসছি। নারী ও শিশুদের প্রতি নির্যাতন বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারকে দায়ী করেন তিনি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও সারা দেশে নারীরা প্রতিনিয়ত নিপীড়ন ও হেনস্তার শিকার হচ্ছে। আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল দৈনিক স্বাধীন সংবাদ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেশের সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির অপচেষ্টায় আওয়ামী ফ্যাসীবাদের হাত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের আন্দোলন সংগ্রামে নারীদের সর্বত্রই গৌরবোজ্জ্বল অংশগ্রহণ ছিল। বিগত জুলাইয়ের আন্দোলনও তারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। তাই সংসদীয় ব্যবস্থাসহ সবক্ষেত্রে নারীদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা দরকার বলেও মনে করেন তিনি। নারী নির্যাতন বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারকে দায়ী করেন তিনি। কলিম উদ্দিন আহম্মেদ মিলন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নারী, শিশু ও যুব সমাজের উন্নয়নে যেসব প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংবিধানিক পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, এর মাধ্যমে জাতি অনেক দূর এগিয়েছে।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারীদের বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। তিনি নারীদেরকে সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। কলিম উদ্দিন আহমেদ মিলন বলেন, বিএনপি প্রতিশোধে বিশ্বাসী নয়।
অতএব স্বৈরাচারদেরকে বলছি উঁকিঝুঁকি দিলে ফল ভাল হবে না। শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের এ দেশের মাটিতে বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ রাজনীতি করতে পারবে না। খুনী—স্বৈরাচারদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। আগে খুন—গুম, মামলা—হামলা ও লুটপাটের বিচার তারপর রাজনীতি।