মো নাবিন আহমেদ:
ঢাকা জেলার সিএনজি ঢাকা জেলার মধ্যে চলাচল করবে এবং ঢাকা মেট্রো সিএনজি ঢাকা শহরে চলবে এটাই নিয়ম। কিন্তু ট্রাফিক পুলিশকে মাসোহারার মাধ্যমে ঢাকা জেলায় অবাধে চলাচল করছে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিএনজি।
রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন পোস্তগোলা ও জুরাইনে যানযট লেগেই থাকে। মানুষ চলাচল করতে প্রায় সময় ভোগান্তিতে পড়ে। এ বিষয়ে কোনো পদড়্গপে নেয় না প্রশাসন। ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার হাসনাবাদ ও ইকুরিয়া থেকে প্রতিদিন জুরাইন পোস্তগোলার রোডে চলাচল করে হাজার হাজার সিএনজি গাড়ি। এসব প্রত্যেকটি সিএনজি গাড়ি চলাচলের জন্য ৩১০০ টাকা করে নেয় একটি চক্র। যে টাকা বন্টন হয় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে। চাঁদাবাজ মান্নানের রয়েছে ৪০ টি সিএনজি গাড়ি।
মান্নান প্রতি মাসে তার ৪০ টি গাড়ি থেকে ৩১০০ টাকা করে মোট ১২৪০০০ টাকা চাঁদা আদায় করে। বাবু প্রতি মাসে ৩৮০ টি গাড়ি থেকে ৩১০০ টাকা করে ১১৭৮০০০ টাকা চাঁদা আদায় করে। নাদিম প্রতি মাসে ১২০ টি গাড়ি থেকে ৩১০০ টাকা করে মোট ৩৭২০০ টাকা চাঁদা আদায় করে। ফারম্নক প্রতি মাসে ৬০ টি গাড়ি থেকে ৩১০০ টাকা করে মোট ১৮৬০০ টাকা চাঁদা আদায় করে। রবিউল প্রতি মাসে ৪০ টি গাড়ি থেকে ৩১০০ টাকা করে মোট ১২৪০০০ টাকা চাঁদা আদায় করে।
এ বিষয় দেখেও না দেখার বান করছে ট্রাফিক পুলিশ। চাঁদাবাজদের টাকা না দিলে মারধর করা হয় সিএনজি ড্রাইভারদের এবং পদে পদে হয়রানি করে ট্রাফিক পুলিশ। কারণ চাঁদাবাজ মান্নান, বাবু, নাদিম, ফারম্নফ, রবিউল গংরা আদায়কৃত চাঁদার একটি বড় অংশ দেয় শ্যামপুর থানা ও ট্রাফিক পুলিশকে।
এ বিষয় ট্রাফিক পুলিশদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে এগুলো পুলিশের উদ্বোধনী কর্মকর্তারা ম্যানেজ করেন। ভুক্তোভোগী সিএনজি ড্রাইভাররা বলেন দেশ স্বাধীন হওয়ার পড়েও যদি চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি থাকতে হয় তাহলে আমরা কোথায় যাবো। বিষয়টি সঠিক ভাবে তদন্ত করে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছেন ভুক্তোভোগী সিএনজি ড্রাইভাররা।