আমির হোসেন:
ঝালকাঠি শহরের ডাক্তার পট্টিতে (স্বর্ণকার পট্টি) দুর্ধর্ষ ডাকাতির চেষ্টাকালে জনতার ধাওয়া খেয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় ডাকাত। রবিবার সন্ধ্যায় ইফতার চলাকালীন সময়ে বোমা বিস্ফোরণে ঝালকাঠি শহর কেঁপে উঠে। এসময় সাতটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট এর গ্লাসে ২ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এসময় গ্লাস ভেদ করে গুলি ঢুকে যায় কিন্তু গুলিতে কেউ হতাহত হয় নাই। বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতরা একটি মিনি পিকআপ করে শহরের সাধনা মোড় হয়ে ফায়ার সার্ভিস চাঁদকাঠি হয়ে ঝালকাঠি বরিশাল সড়কে উঠে ষাটপাকিয়া হয়ে বরিশাল শহরের দিকে চলে যায়। এসময় ষাটপাকিয়া ও জেলা পুলিশ লাইনের সামনে পিক আপটি পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ২ জন পুলিশ সদস্য ও ১জন পথচারী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
তাৎক্ষণিক পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এদিকে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এডভোকেট শাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি করার জন্য এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য ডাকাতি চেষ্টা, বোমা বিস্ফোরণ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা বিএনপি এই ধরনের কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিএনপি জনগণকে সাথে নিয়ে এই ধরনের অরাজকতা ও অপকর্ম প্রতিরোধ করবে।
অপরদিকে জেলা যুবদলের সাবেক আহবায়ক শামীম তালুকদার ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। তিনি শহরের সকল ব্যবসায়ী জনতাকে সজাগ থেকে এসকল ঘটনা প্রতিহত করার জন্য সকলকে আহ্বান করেন। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।