মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ::
তিন বছর আগেও দেশের দক্ষিণ প্রতিমাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার ছিল দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌপথ। ২১ জেলার লাখো মানুষকে নদী পারাপারের জন্য নদী ফেরী ঘাটে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে সেই দুর্ভোগ বেড়ে যেতো কয়েকগুণ। তীব্র যানজটে নাকাল হতে হতো শিশু বৃদ্ধ থেকে সব মানুষকে। পদ্মা সেতু যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পর পাল্টে গেছে সেই দৃশ্য।
আসন্ন ঈদ ফিতরকে সামনে রেখে দেশের ব্যস্ততম দুই নৌরুট পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিহাট নৌপথে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এবার ঈদে এই নৌরুটে থাকবে কোন যানজট। তাছাড়া যেকোন প্রকার হয়রানি ও ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে পার হতে পারবে যাত্রী ও চালক’রা।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুট। এই রুটে আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহন পারাপারে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে ঘাট কর্তৃপক্ষ। ঘাট প্রস্তুতসহ ঈদে যাত্রীদের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে একসঙ্গে কাজ করছে বিআইডাব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা।
পাটুরিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে, এবার ঈদে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ১২টি রো রো, দুটি ইউটিলিটি, একটি মাঝারি এবং তিনটি কে-টাইপের ছোট ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হবে। এ ছাড়া ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে। অন্যদিকে আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে পাঁচটি রো রো ফেরি এবং ১৩টি লঞ্চ ঈদ উপলক্ষে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
যানবাহন চালক ও যাত্রীরা বলছেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে ভোগান্তি ছিল নিত্যদিনের। কিন্তু এখন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে পার হতে পারছে মানুষ ও যানবাহন। এ ছাড়া ঘাট এলাকা এবং মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ কাজ করবে।
বিআইডাব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের এজিএম সালাম বলেন, আসন্ন ঈদ সামনে রেখে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। উভয় পারের ঘাটগুলো ঠিক করা হচ্ছে। নৌ-রুটে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফেরি থাকার কারণে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ঈদের আগে তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোছাঃ ইয়াসমিন খাতুন বলেন,
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমাদের সহস্রাধিক পোশাকি ও শতাধিক সাদা পোশাকের পুলিশ থাকবে। মলম পার্টি কিংবা কোনো অসাধু চক্র যাতে যাত্রীদের হয়রানি করতে না পারে, তার জন্য ঘাট ও মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মোবাইল টিম নিয়োজিত থাকাসহ সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।