জহিরুল ইসলাম বাবলুঃ
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মেহেদী হাসান রিয়াদ সহ ৭ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা পাতানো মামলা এবং চারজনকে মিথ্যা এই মামলায় আটকের প্রতিবাদে
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গত ১৭ মার্চ সোমবার বেলা ১২ ঘটিকায় চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি শহীদুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে উক্ত প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ আরেফিন ও কালের প্রতিচ্ছবি পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক হাসান আল মামুন সহ বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা শাখার সকল নেতৃবৃন্দ।
বক্তব্যে সিনিয়র সাংবাদিক নেতা ও কালের প্রতিচ্ছবির সম্পাদক ও প্রকাশক হাসান আল মামুন বলেন মুক্ত গণমাধ্যম আজকে নামধারী কিছু দালাল সাংবাদিক চক্রের কাছে বন্দী, খাগড়াছড়ি অবৈধ ইটভাটা গুলো পরিচালনা করছে সাংবাদিক নামের এই অপসংবাদিক দালাল গুলো অর্থের বিনিময়ে স্যাটেলাইট চ্যানেলের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে ইনারা এখন অনেক বড় সাংবাদিক নেতা বনে গেছেন।
তাদের মন মত না হলে প্রশাসনের সঙ্গে আতাত করে বানিয়ে দিচ্ছেন চাঁদাবাজ সাংবাদিক খাগড়াছড়িতে চার সাংবাদিকের পরিণতি তাই তিনি উল্লেখ করেন এবং অনতিবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি এবং এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানায়।
উক্ত সভায় বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক নেতা সোহাগ আরেফিন বলেন,
ইটভাটার দুর্নীতি তুলে ধরতে যাওয়ায় এই
চার সাংবাদিক সহ ঘটনাস্থলে না থাকা তিন সাংবাদিক খাগড়াছড়ি কিছু রাক্ষুসের সাংবাদিকদের করাল গ্রাসের শিকার হয়েছেন,
স্থানীয় প্রশাসন এবং স্থানীয় প্রেসক্লাবের গুটি কয়েক সাংবাদিক দীঘিনালার মোহনা টেলিভিশন এর প্রতিনিধি ও ইট ভাটার মালিক আলমগীরের যোকসাজসে এ ঘটনা বলে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এই চিত্রটি ফুটে উঠে এছাড়াও খাগড়াছড়িতে দুই ডজনেরও বেশি সাংবাদিক আজ খাগড়াছড়ি ছাড়া।
সোহাগ আরেফিন আরো বলেন মেহেদী সহ অন্য যে সাংবাদিকদের আজ মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া অবশ্যই নিন্দনীয় আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি পাশাপাশি চার সাংবাদিকের কারামুক্তি সহ এই ষড়যন্ত্র মূলক হয়রানি মামলার অবিলম্বে প্রত্যাহার না করলে সারাদেশে সকল সাংবাদিক একযোগে কঠোর আন্দোলনে নেমে আসবে।
এ সময় বাংলাদেশর মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের জেলা কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য দৈনিক স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার জহিরুল ইসলাম বলেন গত ৫শে আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর সাংবাদিক সাংবাদিকদের শত্রু হয়ে গেছে প্রত্যেকটা জায়গায় সাংবাদিকরা নিজেদেরকে জাহির করার জন্য অন্য সাংবাদিকের বদনাম করেন এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে নিজেদেরকে সংশোধন হতে হবে তাহলে সাংবাদিক নির্যাতন কমে যাবে মামলা হামলা কমে যাবে সাংবাদিকরা কোন দলের বা কোন রাজনীতির অংশ হতে পারে না সাংবাদিকরা দেশের সম্পদ সাংবাদিকরা কাজ করবে দেশের জন্য লিখবে সাংবাদিকরা দালালি ছাড়তে হবে খাগড়াছড়িতে গ্রেফতারকৃত চার সাংবাদিকের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন
সভায় চট্টগ্রাম বিএমইউজে’র নেতা কর্মীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারাবন্দীদের মুক্তি ও সাজানো এই পাতানো মামলা প্রত্যাহার না হলে আমরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবো।
সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ হোসেন বিপ্লবের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন,সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির রাব্বি,সহ-সংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন সোহেল,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক,মোঃ মাসুদ,কার্যনির্বাহী সদস্য জহিরুল
ইসলাম বাবলু,কার্যনির্বাহী সদস্য নাছির উদ্দিন লিটন, দৈনিক কর্ণফুলী পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার হেলাল উদ্দিন, স্বাধীন সংবাদ পত্রিকার রিপোর্টার মোশাররফ হোসেন মাসুদ, কলের প্রতিচ্ছবি পত্রিকার রিপোর্টার মাসুদুল ইসলাম,পিবিআই ৭১ সাংবাদিক আসিফ সহ প্রমুখ।