রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার ভাগলপুর হইতে খোলাবাড়িয়া রেল লাইন পর্যন্ত ৮৪৭ মিটার পাকা রাস্তার কাজে ব্যাপক অনিয়মিত ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স গাজি টেডার্স এর বিরুদ্ধে।
স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ, এই রাস্তার কার্পেটিং এর কাজে ব্যবহার করা হয়েছে, নিম্ন মানের মানহীন ও মেয়াদ উত্তির্ন ভিটুমিন। যা কার্পেটিং এ দেওয়ার মাত্র ১ থেকে ২ দিনের মাথায় পথচারীদের পায়ের ঘষায় উঠে যাচ্ছে। এছাড়াও রাস্তার দুইপাশে লামছাম কার্পেটিং দিয়ে কোন প্রকার ডলোন ছাড়াই সরকারী মোট অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কতিপয় কয়েক ব্যক্তি। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, কার্পেটিং পাথর এর জায়গায় ব্যবহার করা হয়েছে পাথরের ডাস্ট। যার কারণে এখনই ওঠে যাচ্ছে কার্পেটিং।
স্থানীয় এলজিইডি সুত্রে জানা যায় ,গত বছরের ২৮শে ডিসেম্বর-২৪ এ ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৮৪৭ পাকা রাস্তা নির্মাণের কাজ পায় মেসার্স গাজি টেডার্স নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এই বছরের ১৩ই মার্চ-২৫ তারিখের মধ্যে কাজ রাস্তার সমস্ত কাজ শেষ করার কথা ছিল। ইস্টিমেটে ধরা ছিল ৮৪৭ মিটার রাস্তা মধ্যে ৩২৬ মিটারে হবে ১৫ মিলি ও বাকি ৫২১ মিটার হবে ২৫ মিলি কার্পেটিং।
সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,রাস্তা কাজের উল্টো চিত্র। ফিরোজ এর ইটভাটা হইতে খোলাবাড়িয়া রেললাইন পর্যন্ত ৫২১ মিটার রাস্তার কার্পেটিং পথচারীদের পায়ের ঘষায় উঠে যাচ্ছে। অথচ মাত্র এক থেকে দুই দিন আগে রাস্তার এই অংশের কাজ শেষ করে গিয়েছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এসময় উৎসুক জনতাকে পা-দিয়ে রাস্তার কার্পেটিং এর কিছু অংশ ওঠাতে দেখা যায়।
এমন অনিয়মের বিষয়ে মেসার্স গাজি টেডার্স কর্নধার গাজী মাসুদ এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, নিয়ম মেনে রাস্তার কাজ হচ্ছে। পরে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ফোনটি কেটে দেন। পরে বারবার তার নাম্বার ফোন দেওয়া হলেও তিনি আর ফোনটি রিসিভ করেনি।তবে ঠিকাদার এর উদ্দেশ্যে কঠোর হুশিয়াড়ি দিয়ে এলজিইডির গোয়ালন্দ উপজেলার প্রকৌশলী ফয়সাল জাহিঙ্গীর স্বপ্নীল বলেন, রাস্তার কাজে কোন প্রকার অনিয়ম বা নয়ছয় করে বিলের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কোন সুযোগ নাই। আমি ইতিমধ্যে সাংবাদিকদের মারফত ঘটনা স্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ঠিকাদারকে সঠিকভাবে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছি।