জহিরুল ইসলাম বাবলুঃ
চট্টগ্রামে রেলওয়ে কর্মকর্তা জিল্লুর রহমানের দুর্নীতি আর অনিয়মের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কথিত ছাত্রদল নেতার হুমকি আর বাঁধার মুখে পড়েন
৪ সংবাদকর্মী। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রামের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক ডিআরএম’র কাছে বক্তব্য নিতে গেলে, তার কার্যালয়ের সামনে ছাত্রদল
নেতা পরিচয়দানকারী শামছুদ্দিন শামছু প্রকাশ কানা শামছু এসে সংবাদকর্মীদের ভেতরে প্রবেশে বাঁধা দেয়।
এর আগে মুঠোফোনে ডিআরএম কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে সেখানে ছুটে আসেন এই কথিত নেতা। একপর্যায়ে সে নিজেকে ছাত্রদলের
যুগ্ম আহবায়ক দাবী করে জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে নিউজ না করতে হুমকি দিয়ে ভেতরে প্রবেশে বাঁধা দেয় এবং সাংবাদিকরা প্রেস ক্লাবের সদস্য কিনা তা
জানতে চেয়ে পরিচয় পত্র দেখাতে বলে তাকে। এমনকি নিউজ প্রকাশ করলে সংবাদকর্মীদের দেখে নেয়ার হুশিয়ারি দেন এই তথাকথিত ছাত্রদল নেতা।
সে নিজেকে জিল্লুর রহমানের ছোট ভাই দাবি করে বলেন, আপনারা সাংবাদিকরা রেলওয়ের বিরুদ্ধে এত নিউজ কেন করছেন? আপনারা এসব ঠিক করছেন না।
এই ছাত্রদল পরিচয় দানকারী কথিত নেতা রেলের অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য সংগ্রহকারী উপস্থিত সংবাদকর্মীদের ভুয়া সাংবাদিক বলে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করতে থাকে।
পরে প্রেস ক্লাবের সদস্য পরিচয় দান করে জসিম নামের এক ব্যক্তিকে কল দিয়ে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের পরিচয় দিলে অপরপ্রান্ত থেকে তিনি কল কেটে
দেয়।
এরপরে প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহেদুল করিম কচিকেও ফোন দিয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে ফোনে সংযোগ করে দেন। সংবাদকর্মীদের তিনি ফোনে জানান,
যথাযথ ডকুমেন্টস থাকলে নিউজ করতে বলে তিনিও কল কেটে দেয়।
পরবর্তীতে এই কথিত ছাত্রদল নেতা নিজের মোবাইলে উপস্থিত সংবাদ কর্মীদের চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে ভিডিও করতে থাকে। ধারণকৃত ভিডিও সে তার
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক আইডি থেকে মিথ্যা ক্যাপশন বিভিন্নজনকে ট্যাগ দিয়ে ছড়িয়ে দেয়।
এ বিষয়ে নগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব তুহিনের সাথে কথা হলে তিনি শামছুকে নগর ছাত্রদলের সদস্য দাবি করার বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সংবাদকর্মীরা হুমকি প্রদান কারী ছাত্রদল নেতা শামছুর বিরুদ্ধে খুলশী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এরপর থেকে সংবাদকর্মী
মো. রুবেলের পরিবারকেও নানান ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে শামছুদ্দিন গং।
তথ্য সংগ্রহে গিয়ে ছাত্রদল পরিচয়ে সংবাদকর্মীদের সাথে এমন ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন সচেতন সাংবাদিক মহল। সেই সাথে শামছুদ্দিন ও তাকে আশ্রয়
প্রশ্রয় দানকারী উস্কানিদাতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন চট্টগ্রামে কর্মরত অন্যান্য সচেতন সাংবাদিকরা।