ঈদের আনন্দ পৌঁছেনি ভোলার বেদে পল্লী গুলোতে

আমির হোসেন: 

ঈদের আনন্দ পৌঁছেনি ভোলার বেদেপল্লী গুলোতে। ভাসমান জনগোষ্ঠী বেদে সম্প্রদায়ের যাযাবর জীবন। ঈদ উৎসব এই সম্প্রদায়ের মনের মাঝে কখনোই তেমন নাড়া দেয় না। বংশ পরম্পরায় খুশির আমেজ থেকে বঞ্চিত এই জনগোষ্ঠী, খুশির ঈদের দিনটি তাদের কাছে উৎসব নয়, যেন নাম হয়ে এসেছে।
ঈদের দিন ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর, ধনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বেদে পল্লী ঘুরে জানা যায়, ৫০ উর্ধ্ব সোহামী বেগম তিন মেয়ে, দুই ছেলের জননী হয়েছেন।

এই বয়সেও নিজে নদীতে গিয়ে মাছ শিকার করে খাবার যোগার করেন তিনি৷ অন্যান্য দিনের মতো ঈদের দিনটিও তার কাছে আলাদা কিছু ছিল না। পরিধেয় পোশাক আর সংসারে ঈদের লেশ মাত্র নেই। ১ কেজি গরুর গোস্তো কেনার টাকাও তার কাছে নেই।

বেদেরা জানায়, নদীতে মাছ শিকার করে টাকা উপার্জন করা এসব পরিবারের পুরুষরাও নদীতে অভিযান থাকায় এখন অনেকটাই বেকার, শিশুদের চাহিদাও পূরণ করতে পারছেন অনেকে।

আমাদের কাছে ঈদের আনন্দ উৎসব বলতে কিছুই নেই, আমাদের কাটাও নেই ঈদও নেই। যাদের টাকা পয়সা আছে তারা ভালো ভালো খাবার খায়, সন্তান এবং নিজেদের জন্য নতুন পোশাক কিনে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। বেদে মোস্তফা বলেন, নদীতে অভিযানের কারণে নদীতে যেতে পারিনা, যদি সাহায্য পাই তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো। সরকারের কাছে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। সহযোগিতা পেলে হয়ত আমাদের এমন কষ্ট  থাকবে না।

জেলা সমাজসেবা উপপরিচালক রজত শুভ্র সরকার বলেন, বেদে সম্প্রদায়ের জন্য ঈদ উপলক্ষে বেদে ভাতা এবং যেসমস্ত শিশুরা স্কুল গামী তাদের জন্য শিক্ষা উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনলাইনে ভাতার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া দেওয়া হয়েছে। যেসমস্ত বেদের এনআইডি কার্ড রয়েছে এবং ৫০ উর্ধ্বে বয়স তারাই শুধু এই ভাতা পেয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *