
নাবিন আহমেদ:
ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ডিপিডিসির জুরাইন অফিস দুর্নীতিবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। কথায় কথায় মিটারে ত্রুটি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের বিল প্রদানের হুমকী দিয়ে গ্রাহককে জিম্মি করে আদায় করা হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আবার বড় ধরণের অভিযোগ প্রমানের পরও মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে আপোসের নজিরও রয়েছে।
গ্রাহকদের অভিযোগ, ভুল রিডিং দিয়ে অতিরিক্ত বিল করে উৎকোচ আদায়, মিটার টেম্পারিং অভিযোগ তুলে হয়রানিসহ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রকৌশলী, সুপারভাইজার, মিটার রিডারসহ এখানকার কর্মচারিরা।
এ নিয়ে অভিযোগ করতে গেলে পাল্টা হয়রানির শিকার হতে হয়। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জুরাইন বিদ্যুৎ অফিসের বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুর রহমান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে জুরাইন অফিসের অনিয়ম, দুর্নীতি ও গ্রাহক হয়রানি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। নির্বাহী প্রকৌশলীর প্রশ্রয়ে বিদ্যুৎ অফিসে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। এর মধ্যে আছেন সহকারী প্রকৌশলী গংরা।
এরা কৌশলে গ্রাহককে ফাঁদে ফেলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। ডিপিডিসি জুরাইন বিভাগের লাইনম্যান জামাল উদ্দিন সিন্ডিকেট করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। গতকাল ধনিয়া কবরনস্থান রোডের একটি বাড়ির বিদ্যুৎ মিটারে কিলো ওয়াট বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ২০০০ হাজার টাকা দাবি করে। অথচ গত ঈদের আগেই বিদ্যুৎ অফিসে আবেদন করে ২০০ টাকা জমা দেওয়া পরেও মিটারে কিলো ওয়াট বাড়িয়ে দেয়নি ডিপিডিসি জুরাইন বিভাগ।
এ বিষয় ডিপিডিসি জুরাইন বিভাগের লাইনম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, ওপরের স্যারদের টাকা না দিলে কোনো দিনও আপনি মিটারের কিলো ওয়ার্ট বাড়াতে পারবেন না। অফিসে গিয়ে আপনারা আবেদন করার পরেও অফিস থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। কারণ একটাই স্যারদেরকে খুশি না করলে কোনো কাজই হবে না। যেমন, আমি আপনার কাছ থেকে ২০০০ টাকা চেয়েছি, এখান থেকে আমার থাকবে ৫০০ টাকা বাকি ১৫০০ টাকা পাবে স্যাররা। সূত্রে যানা যায়, লাইনম্যান জামাল উদ্দিনের রয়েছে ঢাকা ও কুমিল্লাতে অগনিত সম্পত্তি।
এ বিষয় লাইন জামাল উদ্দিন বলেন বিদ্যুৎ বিভাগের লাইনম্যান থেকে শুরু করে প্রতিটি কর্মকর্তাদের রয়েছে একাধিক বাড়ি ও নানান সম্পত্তি।
এ বিষয় বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুর রহমান, আপনার নিউজটি রেডি করে আমার ওয়াটসাপে পাঠিয়ে দিন আমি দেখে নেই।
ভুক্তোভোগীদের দাবি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ।