
স্টাফ রিপোর্টার:
গাজীপুরে পূবাইলে এক যুবতীকে ইভটিজিং ও হেনস্তার প্রতিবাদ করায়,গাজীপুর মহানগরের ৪১ নং ওয়ার্ড ছাত্র দলের সভাপতি মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে অপপ্রচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা মেহেদী হাসান জানান, বিগত ৩ তারিখ পুবাইল রেল স্টেশন প্ল্যাটফর্মে ঘুরতে আসা কয়েকজন যুবতী ও তার বন্ধুদের ৪১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছারের নেতৃত্বে কয়েকজন বখাটে ঘুরতে আসা যুবতীদের ইভটিজিং সহ বিভিন্ন ধরনের অঙ্গভঙ্গি করে,পরে তাদের সাথে থাকা ছেলে বন্ধুরা প্রতিবাদ করলে তাদেরকে ও কাউসারের নেতৃত্বে বখাটেরা চড় থাপ্পর মেরে তাদের সাথে থাকা ২৭০০ টাকা, ও একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে আমার সংগঠনের ছোট ভাইদের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনা সম্পর্কে জানতে বখাটে কাওছার কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পূবাইল রহমানিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার মাঠে গেলে কাওসার এবং তার সাথে থাকা বখাটে কাউসা আমার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে অন্ধকারে পালিয়ে যায়, পরবর্তীতে কাউসার ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে তার ফেইসবুক আইডি থেকে লাইভে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন।
পরবর্তীতে কাউসারের যোগসাজশে খিলগাঁও এলাকার হাবিবুর রহমান আমার সাথে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূবাইল কলেজ গেট এলাকায় ঝগড়া সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে হাবু আমাকে মারতে এলে, আমি তাকে প্রতিহত করার সময় অসাবধানতাবশত হাবিবুরের গায়ে চর লেগে যায়।
পরবর্তীতে কাউসার, হাবিবুর এবং কতিপয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।
এবং এই অভিযোগ কে কেন্দ্র করে আমার বিরুদ্ধে কিছু, অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা অসত্য, সংবাদ পরিবেশন করে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার অপচেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী যুবতী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, আমি আমার কয়েকজন বান্ধবীসহ, ৩ তারিখে পূবাইল রেল স্টেশন এলাকায় ঘুরতে গেলে,কিছু বখাটে আমাদেরকে উত্ত্যক্ত করে এবং আমাদের ছেলে বন্ধুদের থাক মোবাইল কিনে নিতে চেষ্টা করে, ব্যর্থ হয়ে তারা আমাদের সাথে থাকা নগদ ২৭০০ টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি বখাটেদের মধ্যে একজন কাউসার, সে ৪১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।পরবর্তীতে আমার ছেলে বন্ধুরা বিষয়টি ৪১ নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি মেহেদী ভাই কে জানায়।
আমাদের পারিবারিক মান সম্মানের কথা বিবেচনা করে কোন থানা পুলিশের শরণাপন্ন হয়নি। এলাকায় খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় অভিযুক্ত কাওছার একজন বেকার সে ছাত্রদলের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। তাকে প্রশ্রয় দেয় এলাকার নামধারী কতিপয় সাংবাদিকরা এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাওছারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।