নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার এখন দুর্নীতির আখরায় পরিণত

স্টাফ রিপোর্টার:

৫ই আগস্টের পরে আওয়ামীলীগ ও জাতিয় পার্টির নেতা-নেত্রীরা একাধিক হত্যা ও নানান মামলায় জড়িত হন। তার মধ্যে অন্যতম নারায়ণগঞ্জ জেলা বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: মাকসুদ হোসেন এবং বন্দর থানাধীন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দেলোয়ার হোসেন প্রধান।

জানা যায়, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পালানোর পর একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে নারায়নগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দি অবস্থায় রয়েছেন। কিন্তু জেলে আটক থাকাকালীনও করছেন আরাম-আয়েশ ও বিলাসিতা।

রাজনৈতিক আসামিদের সাথে  ১৫ দিন পর পর দেখা করার নিয়ম থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই দেখা করতে পারছেন নিজ পরিবার সদস্য ও আতি¥য়স্বজন সহ হিতাকাঙ্ক্ষীরা। গোপন সূত্রে জানা যায়, খুব বিলাস বহুল তবিয়তে দেখা করা যায় এই আসামিদের সঙ্গে। নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মামুনের কড়্গে বসে আসামিরা পরিবারের লোকজন সহ বাহিরের থেকে আনা ভিআইপি খাবার খেতে পারেন, যা নিয়মের বাহিরে।

শুধু এই দুজনের ক্ষেত্রেই নয়, এই কারাগারের প্রতিটি আসামিদের জন্য রয়েছে নানান সুবিধা যা টাকা করচ করলেই ভোগ করা যায়। নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের কর্মরত প্রতিটি ব্যাক্তিদের দ্বারা টাকার বিনিময় করিয়ে নেওয়া যায় নানান কাজ যা ভোগ করে এই অপরাধিরা।

জানা যায়, জেলার মামুনের নেতৃত্বেই এই কাজ গুলো করা হয়। এ বিষয় জেলার মামুনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সম্পূর্ণ বিষয় মিথ্যা বলে অস্বিকার করেন এবং বলেন, আমি এখানকার মূল দায়িত্বে নেই আপনারা জেল সুপারের সাথে কথা বলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *