আব্দুর রশিদ:
সর জমিনে ঘুরে আজ ৬ ইং এপ্রিল। পদ্মপুকুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি চেয়াম্যান আমজাদুল ইসলাম আমজাদ এর নেতৃত্বে তারই দস্যু বাহিনী দখল করে নিলো দিন মজুর হযরত আলীর বসতবাড়ীসহ মাছের ঘের। হযরত আলী ও তাছলিমার নিজ নামিয় মাছের ঘেরের পাশে নিজের মাছের ঘের থাকায় মধ্যবর্তি সীমানা বাধ কেটে নিজের ঘেরের সাথে একাকার করে নিয়েছে হযরত আলীর ২৫ শতক মাছের ঘের।
জানা যায়, গত ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকালে শ্যামনগর পদ্মপুকুর ইউনিয়নের আওয়ামী ঘরনার বিএনপি নেতা পদ্মপুকুর ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলাম আমজাদের সন্ত্রাসী বাহিনীর অন্যতম হোতা মৃত সামাদ গাজীর পুত্র ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম সফি ও মৃত মেছের আলী গাজী পুত্র ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত হোসেনের নেতৃত্বে চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলাম আমজাদের আপন ভাগনে জামাই ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি পাখিমারা গ্রামের মোঃ মোশারফ হোসেনের পুত্র মোঃ মামুন গাজীসহ, মৃত কছিম গাজী পুত্র মোঃ মোশারাফ হোসেন (৫৫), মৃত রুহুল আমিনের পুত্র রফিকুল ইসলাম রফি (৪০) ও শফিকুল ইসলাম, আব্দুল মান্নানের পুত্র মোঃ সেলিম হোসেন, মৃত সামাদ গাজীর পুত্র সাইদুল ইসলাম (৪৫) সহ অজ্ঞাত নামা ১০/১২ জন হযরত আলী তাছলিমার পৈতিক ও কবলাকৃত জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয়।
এসময় জমির মালিক হযরত আলীসহ তার ভাইপো ও তাছলিমার পুত্র মোঃ তৈয়বুর রহমান, আবু তাহের ও মাসুদ বাধা দিতে আসলে প্রতিপক্ষ তাদের উপর চড়াও হয় এবং তাদেরকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করিতে উদ্যত হয়। তারা দখল কাজে বাধা দিতে আসলে জাগায় খুন করে ফেলবে বলে হুমকি দিতে থাকে।
বিষয়টি হযরত আলী স্থানীয় চেয়ারম্যান আমজাদুল ইসলামকে জানালে তিনি হযরত আলীকে বলেন, আমার ভাগনে জামাই মামুন জমির মাথা কেটে সম্পুর্ণ দখল নেবে। তাদের জায়গা দখল নেবার পর যদি কোন জায়গা থাকে তবে তোমরা পাবে নইলে না। চেয়ারম্যানের এই ধরণের কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে তারা স্থানীয় থানায় ও পুলিশ সুপার বরাবর পৃথক অভিযোগ করেছেন।