তানিয়া আক্তারের মামলা নেয়নি কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার:

তানিয়া আক্তার, পিতা- মোঃ মাসুদ রানা, মাতা-মরিয়ম বেগম, সাং-পূর্ব রসুলপুর, ০৯ নং গলি, থানা-কামরাঙ্গীরচর, জেলা-ঢাকা থানায় হাজির হয়ে ১। মোঃ রতন মিয়া, পিতা:- মোঃ রফিকুল ইসলাম, ০২। মোঃ মানিক পিতা:- মোঃ রফিকুল ইসলাম ০৩। আঃ ওহিদ পিতা:- মোঃ রফিকুল ইসলাম। সাং- পূর্ব রসুলপুর ০৩ নং গলি, আশ্রাফাবাদ, থানা-কামরাঙ্গীরচর, জেলা-ঢাকা এর বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীচর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন যে তার স্বামী,  গত ৩৮ দিন পূর্বে তার স্বামী রতন মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। গত ২৭/০৩/২০২৫ ইং তারিখে রতন মিয়া তানিয়া আক্তারের কাছে  যৌতুক দাবী করে।

তানিয়া আক্তারকে বিভিন্ন ভাবে মানসিক প্রেশার দিতে থাকে। বিবাহের সময় তানিয়া আক্তারের বাবার সাথে কোন রকম লেনদেনের কথা ছিলোনা। তবুও তানিয়া আক্তারের বাবা ফার্ণিচার সহ আসবাবপত্র দিয়েছে। রতন মিয়া তানিয়া আক্তারের  থেকে ১০০০০০ (এক লক্ষ) টাকা যৌতুক হিসেবে দাবী করে। তানিয়া আক্তার তার বাবার থেকে টাকা না এন দেওয়ায় তানিয়া আক্তারকে কিল ঘুষি, লাথি মেরে রক্তক্ত, ও যখম করে।

পরে রতন মিয়া তার স্ত্রী তানিয়া আক্তারকে ওয়াশরুমে নিয়ে গলায় তার নিজের ওরনা দিয়ে ফাশি দেয়ার চেষ্টা করে। তানিয়া আক্তারের মাথা ওয়ালের সাথে আঘাত করে। রতন মিয়া দেশীয় অস্ত্র (সুইজগিয়ার) দ্বারা তানিয়া আক্তারকে গলা কেটে ফেলার জন্য চেষ্টা চালায়। একসময় তানিয়া আক্তার চিৎকার করায়  বাড়ির মালিক এসে রুমের দরজা ভেংগে তানিয়া আক্তারকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তানিয়া  আক্তারের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। ঘটনাটি রতন মিয়ার পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। বর্তমানে তানিয়া আক্তার ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

এ ঘটনায় রাজধানীর কামরাঙ্গীচর থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরেও মামলা নিচ্ছে না। বর্তমানে তানিয়া আক্তারকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে তার স্বামী ও তার আত্মীয় স্বজন। ভুক্তোভোগী তানিয়া আক্তার বলেন এত অত্যাচার নির্যাতন করার পরেও মামলা নিল না থানা পুলিশ। এটি আমাদের জন্য অনেক কষ্টের বিষয়। তানিয়া আক্তার আরও বলেন, আমাদের ধন-সম্পত্তি নেই টাকা-পয়সা নেই এ জন্য কী আমরা কোনো বিচার পাবো না? বিষয়টি কামরাঙ্গীচর থানার ওসিকে জানালে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জানি, তানিয়া আক্তারকে মারধর করেছে তার স্বামী রতন মিয়া। মামলা হলে তার নামে হবে কিন্তু তানিয়া আক্তার তার স্বামীর আত্মীয় স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলা দিতে চায়। যার কারণে আমি বলেছি, আপনারা আদালতে গিয়ে মামলা দায়ের করম্নন। ভুক্তোভোগী তানিয়া আক্তারকে যারা নির্যাতন করেছে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন কামরাঙ্গীচর এলাকার সাধারণ মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *