ঢাকা বংশাল থানার ওসির নেতৃত্বে পার্সেল মালামাল লুট’ শীর্ষক মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ

পিন্টু শেখঃ

ডিএমপি ঢাকা বংশাল থানা পুলিশের সফল অভিযানকে নিজেদের স্বার্থে ভিন্য খাতে প্রবাহিত করার পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে একটি সুনামধন্য বেসরকারি টিভি চ্যালেন,যা দেখে পুলিশ প্রশাসন সহ সাধারণ জনগনের মাঝে ভিতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। মামলার বিরবণ এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদোষিদের কাছ থেকে জানা যায় ০৭ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি. তারিখে এসএ টিভিতে প্রচারিত ‘ঢাকা বংশাল থানার ওসির নেতৃত্বে পার্সেল মালামাল লুট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। এ সংক্রান্তে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বক্তব্য নিম্নরূপ-

গত রবিবার (৬ এপ্রিল ২০২৫ খ্রি.) রাত আনুমানিক ২১.০৫ ঘটিকার সময় অফিসার ইনচার্জ, বংশাল থানা এর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রাজধানীর বংশাল থানাধীন তাঁতিবাজার মোড় সংলগ্ন এসএ পরিবহনের স্টোর রুমের মধ্যে এবং সামনের রাস্তার উপর থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে আনা বিপুল পরিমাণ বিদেশী (ভারতীয় ও মায়ানমার) অবৈধ পণ্য একই তারিখ রাত ২৩.৩০ ও রাত ২৩.৫৫ ঘটিকার সময় উদ্ধার পূর্বক জব্দতালিকা মোতাবেক জব্দ করে ডিএমপির বংশাল থানা পুলিশ। বংশাল থানার একটি টিম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে তাঁতিবাজার মোড় সংলগ্ন এসএ পরিবহনের স্টোর রুমের সামনে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালানের মাধ্যমে বিদেশী অবৈধ পণ্য নিয়ে আসা হয়েছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ বিদেশী পণ্য যথাযথ আইনানুগ প্রক্রিয়ায় উদ্ধার পূর্বক জব্দ করে বংশাল থানা পুলিশ। এসব বিদেশী পণ্যের মধ্যে রয়েছে তেল, সাবান, চকলেট, পারফিউম, ফেসওয়াশ ও প্যান্টের কাপড়। উদ্ধারকৃত এসব বিদেশী (ভারতীয় ও মায়ানমার) পণ্যের আনুমানিক মূল্য ৩৩ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। এ ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে বংশাল থানার মামলা নং-০২, তারিখ-০৭/০৪/২০২৫ খ্রিঃ ধারা-The Special Powers Act, 1974 আইনের 25B (1)(b)/25D ধারায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। সুতরাং, কোনরূপ জব্দতালিকা না করে মালামাল লুট করার যে অভিযোগটি উক্ত প্রতিবেদনে আনা হয়েছে তা অসত্য, বিভ্রান্তিকর ও পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার প্রয়াস মর্মে প্রতীয়মান হয়।

উক্ত প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে ‘পুলিশের পক্ষ থেকে মালামাল ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য গ্রাহকদের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে’ যা সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় জব্দ করা অবৈধ চোরাই মালামাল আদালতের অনুমতি ছাড়া কাউকে প্রদান করার কোন সুযোগ নাই। বংশাল থানা পুলিশ ফৌজদারি কার্যবিধির আলোকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় উদ্ধারকৃত আলামতের জব্দ তালিকা প্রস্তুত করে উক্ত মালামাল হেফাজতে নিয়েছে। সুতরাং উক্ত মালামাল আদালতের মাধ্যমেই নিষ্পত্তি হবে এটাই আইনগত প্রক্রিয়া। এক্ষেত্রে প্রচারিত প্রতিবেদনটিতে একটি পেশাদার বাহিনীর আইনসঙ্গত কাজকে জনমনে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।

তাছাড়া উক্ত প্রতিবেদনটিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে ‘থানায় নিয়ে বস্তাগুলো কাটাছেঁড়া করে মালামাল ভাগাভাগি করে নিয়ে যাওয়ার চিত্র ধরা পড়ে ক্যামেরায়’ যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। জব্দ তালিকার মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আটককৃত প্রত্যেকটি অবৈধ মালামালের সঠিক হিসেব সংরক্ষণ করা থাকে যা ভাগাভাগি করে নিয়ে যাওয়ার ন্যুনতম কোন সুযোগ নাই।

এসএ টিভির মতো জনপ্রিয় একটি টেলিভিশন চ্যানেল রাষ্ট্রের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পর্কে যে কোন ধরণের প্রতিবেদন প্রচার করার ক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সেক্ষেত্রে আপনার টিভি চ্যানেলে উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে এরূপ অসত্য, বিভ্রান্তিকর, মনগড়া ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ সম্পূর্ণরূপে অনভিপ্রেত। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ উক্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এক্ষেত্রে উক্ত প্রতিবেদনটি অপসারণ করে প্রকৃত সত্য তুলে ধরার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে বংশাল থানা পুলিশের পক্ষ থেকে।
এ বিষয়ে বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমি বংশাল থানায় দ্বায়িত্ব ভার গ্রহণ কালীন সময় থেকে সাধারণ জনগন এবং রাষ্ট্রের কল্যাণের স্বার্থে বিভিন্ন পরিবহনে তল্যাশী অভিযান অব্যহত রেখেছি, এস এ পার্সেলে যে পরিমান ইন্ডিয়ান প্যান্ট পিচ বিপুল পরিমান জব্দ করা হয়েছে তা তারা প্রকাশ করেনি, এবং তারা সম্পূর্ণ বিষয়ে খোঁজ খবর না নিয়ে এস এ পার্সেলের পক্ষে নিজের স্বার্থ রক্ষার্থে বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস এ টিভিতে তথ্য প্রমাণ বিহীন মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে।
যা করে ডিএমপির ঢাকা বংশাল থানা পুলিশের সফল অভিযানকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার পায়তারা অব্যহত রেখেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *