
আব্দুর রশিদ:
সাতক্ষীরা সদরে যুব নেতৃত্বে পরিবেশ দুষণরোধে পলিথিনের ব্যবহার বর্জন ও প্লাষ্টিকের পুন:ব্যবহারের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভিন্ন প্লাটফর্ম, সমমনা সংস্থা, সাংবাদিক, যুব সদস্য এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৮ই এপ্রিল) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা সদরের পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড়ে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা সিডো বাস্তবায়নে একশনএইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় যুব নেতৃত্বে পরিবেশ দুষণরোধে পলিথিনের ব্যবহার বর্জন ও প্লাষ্টিকের পুন:ব্যবহারের বিষয়ে জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনে সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক মহিলা কাউন্সিলর ও জিডিএফ সভানেত্রী ফরিদা আক্তার বিউটি। এসময় আরো বক্তব্য রাখেন প্রান্তিক যুব সংঘের উর্মি খাতুন, ইমতি জামিল ও ইফতি জামিল, লাল গোলাপ যুব সংঘের সদস্য আরাফাত হোসেন, সাতক্ষীরা ইয়ূথ এ্যালায়েন্স নেটওয়ার্কের সভাপতি মুশফিকুর রহমান, সদস্য কর্ন বিশ্বাস কেডি।
পরবর্তীতে প্রধান অতিথি সহ পুরাতন সাতক্ষীরা হাটখোলা মোড়ে বাজারের মধ্যে দোকানদার ও জনগনের মধ্যে পলিথিনের ব্যবহার বর্জন ও প্লাষ্টিকের পুন:ব্যবহার বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন এবং পরিবেশবান্ধব শপিং ব্যাগ বিতরণ করেন। এ সময় বক্তারা বলেন, প্লাষ্টিক দূষণ বর্তমানে মানবজীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাড়িয়েছে। প্লাষ্টিক দূষণের সবচেয়ে ভয়ের দিকটি হচ্ছে এর দীর্ঘস্থায়ীত্বতা। দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব আমরা অনুভব করছি। প্লাষ্টিক বর্জ্যরে কারনে আমাদের মাটির উর্বরতা এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থের কারণে জীবজগৎ ও উদ্ভীদকুল উভয়ই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নদীতে বা জলাশয়ে প্লাষ্টিক জমে স্বাভাবিক গতি হারায় এবং প্রাণীজগতের বাস্ততন্ত্রের উপর প্রভাব পড়ে। এছাড়া অপর্যাপ্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফলে একটি মোটামুটি পরিমানে প্লাষ্টিক বর্জ্যরে গন্তব্য হয় খাল ও জলাশয়গুলোতে। যার জের ধরেই ক্রমবর্ধমান সমুদ্রদূষণের সমস্যাটি আর ও বৃদ্ধি পায়। বিশ্বব্যাপী একবার প্লাষ্টিক পন্য ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে এবং বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহনের মাধ্যমে একবার ব্যবহায্য প্লাষ্টিক পন্য ব্যবহার কমানো হচ্ছে। আমরা তরূণরা আগামীর কান্ডারী, আগামী দিনে জলবায়ূ সহনশীল পৃথিবী গড়তে আমরা বলতে চায় পলিথিন ও প্লাষ্টিকের ব্যবহার কমাতে, প্লাষ্টিক পুন:ব্যবহারে বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে হবে। একমাত্র জনসচেনতায় পারে পরিবেশ দূষণ রোধ করতে।
উপস্থিত ছিলেন একশনএইড বাংলাদেশ এর ইন্সপেরিটর সুপ্তি দাশ চৈতী, প্রোগ্রাম অফিসার চন্দ্র শেখর হালদার, ফাইনান্স অফিসার চন্দর কুমার বৈদ্য, ইয়ূথ পিয়ার গ্রুপ ফ্যাসিলিটেটর ইয়াছিন আরাফাত শাওনসহ সাংবাদিকবৃন্দ, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের প্রতিনিধিবৃন্দ ও যুব সদস্যবৃন্দ।