ধর্ষণের ফলে ষষ্ঠ শ্রেণির কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন।

মামলার এজাহার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী গ্রামের ১৩ বছরের কিশোরীকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করছিল প্রতিবেশী কিতাবদী শেখের ছেলে মুকুল শেখ (৪৮)। মুকুল শেখ পাঁচ সন্তানের জনক। বিষয়টি জানতে পেরে কিশোরীর বাবা মুকুলকে ডেকে জিজ্ঞেস করায় মুকুল ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরীর বাবাকে হুমকি-ধমকি দেয়।

গত ১২ জানুয়ারি বিকালে কিশোরী বসতবাড়ির পাশের সরিষার ক্ষেতে শাক তুলতে গেলে মুকুল শেখ জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ২৮ মার্চ তাকে  হাসপাতালে চিকিৎসক দেখানো হয়। সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যায় শিশুটি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

মুকুল শেখ তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে বলে কিশোরী জানায়। পরে মুকুল শেখকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে এবং মামলা-মোকদ্দমা করলে শিশুটির বাবাকে খুন-জখমের হুমকি দেয়। গত ৮ এপ্রিল অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকালে বোয়ালমারী থানায় মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন বলেন, মেয়ের বাবার কাছ থেকে ঘটনা অবহিত হয়েছি। এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। গ্রামের মুরুব্বিরা এলাকায় বসে মীমাংসা করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তবে ভুক্তভোগী পক্ষ যেটা চাইবে তাই হবে।

বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *